লেখক : নূর হোসেন ইমরান.
উদ্যোগ এবং পরিবর্তন.
ব্যর্থতায় ও কষ্টে আগামীর আলোজীবনের চলমান সময়ে ব্যর্থতা আসতেই পারে, তাই বলে ভেঙ্গে পড়লে চলবেনা।জীবন কখনও থেমে থাকে না, আমরা না চাইলেও জীবন তার আপন গতিতে এগিয়ে যাবে। আজ এবং কালকের দিনটি মোকাবেলা করতে হবে। অজুহাত না দেখিয়ে আত্মবিশ্বাসের সাথে সামানের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।একবার দুইবার পরাজয়ের অর্থ এই নয় যে, জীবন যুদ্ধে আমি হেরে গেলাম, তার মানে এই নয় যে আমি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবোনা। ধৈর্য্য ধরে এগুতে হবে।বিখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন, ছোটবেলায় খুবই দুর্বল ছাত্র ছিলেন। এই নিয়ে শিক্ষকরা বলতেন, ‘সে কোন কিছু শিখতে নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিতো।’ কিন্তু নির্বোধ এই ছেলেটি একদিন মহান বিজ্ঞানী হয়ে যাবেন কেউ তা কল্পনাও করেনি।অথচ তিনি গ্রামোফোন, ভিডিও ক্যামেরা এবং দীর্ঘস্থায়ী বৈদ্যুতিক বাতিসহ বহু যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন। এ্যাপেল ইনকরপোরেট এর প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জব্স, টাকা পয়সার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে পারেনি।অথচ পাল্টে দিয়েছেন মানবসভ্যতার তিনটি C- Connect Communicate Consume. ড. আতিউর রহমান, যার নাম ছিল আতাউর রহমানÑ কিন্তু ক্যাডেট কলেজের ভর্তি ফরমে স্কুলের হেড মাষ্টার আতাউর এর জায়গায় আতিউর রহমান লিখে দিয়েছিলেন। কারণ এই আতাউর অন্য আট-দশটা আতাউরের মত নয়। সে নিশ্চয় একদিন অনেক বড় কিছু হবে। কোন রকম খেয়ে না খেয়ে কাটানো এই আতিউরের জীবন, তার নামের মতই একটু ভিন্ন ছিল। ঘরের পালিত খাসি ১২ টাকায় বিক্রি করেছিল নতুন বই ক্রয় করতে। অন্যের বাড়িতে থাকা-খাওয়ার আশ্রয় নিয়েছিল। কানাই লাল বিশ্বাসের ফুলপ্যান্ট ধার করে, চাচাদের কাছথেকে ৫০ টাকা অনুদান নিয়ে, হাট থেকে আট আনা, চার আনা, এক টাকা, দুই টাকা করে ১৫০ টাকার চাঁদা তুলে, গাভী আর খাসি চরিয়ে.. রাখাল থেকে ড. আতিউর রহমান হয়ে গেলেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যাংকের (বাংলাদেশ ব্যাংক) গভর্ণর।আর এইসবই সম্ভব হয়েছে অদম্য ইচ্ছা, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস, দরিদ্রতার কাছে হার না মেনে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে।