আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচে ৩৪১ রান করেও জয় পেল না বাংলাদেশ। বার্মিংহ্যামে পাকিস্তান ম্যাচটি জিতে নিয়েছে ২ উইকেটে।
ওপেনার তামিম ইকবালের সেঞ্চুরির সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল তুলেছে ৩৪১ রান। জবাবে ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে এই ম্যাচে ইনিংস ওপেন করেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। শুরুটা ভালো হলেও ইনিংসের সপ্তম ওভারের প্রথম বলে সাজঘরে ফিরেছেন সৌম্য। পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খানের বলে বাবর আজমের তালুবন্দি হয়েছেন তিনি। তবে তামিম ইকবাল ব্যাট হাতে ছিলেন বেশ সাবলীল। মাত্র ৮৮ রানে ৯ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় সেঞ্চুরি করেন তিনি। অবশ্য সেঞ্চুরির পর পরই ব্যক্তিগত ১০২ রানে আউট হন তামিম।
এ ছাড়া ওয়ান ডাউনে নামা ইমরুল কায়েস ৬১ ও মুশফিকুর রহিম ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন। এর সঙ্গে বাকি ব্যাটসম্যানদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অবদানে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৪১ রানে পৌঁছায়।
পাকিস্তানের পক্ষে ৪টি উইকেট নিয়েছেন পেসার জুনায়েদ খান। এ ছাড়া পেসার হাসান আলি ও লেগস্পিনার সাদাব খান ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
ইংল্যান্ডে পা রাখার আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলে এসেছে টাইগাররা। যেখানে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচ জেতার পাশাপাশি শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় (দেশের বাইরে নিউজিল্যা্েডর বিপক্ষে প্রথম জয়) পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের কন্ডিশন একেবারে ভিন্ন বলে পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ দুটিকে বড় করে দেখছেন টাইগার অধিনয়াক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
বাংলাদেশ স্কোয়াড : ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহ, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান, শফিউল ইসলাম, সানজামুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ।
পাকিস্তান স্কোয়াড : আহমেদ শেহজাদ, আজহার আলী, ফাহিম আশরাফ, ফাখার জামান, হারিস সোহেইল, হাসান আলী, ইমাদ ওয়াসিম, জুনায়েদ খান, মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ হাফিজ, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), শাদাব খান, শোয়েব মালিক, ওয়াহাব রিয়াজ।