কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের সদর উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশনে বসেছে সুর বালা রায় শিল্পী (২৫) নামের এক এনজিও কর্মী।
বুধবার (২৫ মে) রাত ১০টার দিকে বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিক অমল চন্দ্র বর্মনের বাড়িতে আসলে প্রেমিক কৌশলে পালিয়ে যায়। এরপর শত চেষ্টা করেও ঐ যুবতীকে অমল চন্দ্রের পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে বের করে দিতে পারেনি। এ অবস্থায় বিয়ে না হলে আত্মহত্যা করবে বলে ছেলের পরিবারকে হুমকী দিয়েছে সুর বালা রায় শিল্পী। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের বানছারাম গ্রামের নিবারন চৌধুরীর ডিগ্রী পাশ বেকার পুত্র অমল চন্দ্র রায়ের সাথে দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই মণ্ডলপাড়া গ্রামের সম্বারু চন্দ্র বর্মনের মেয়ে সুর বালা রায়ের সাথে দীর্ঘ ৪ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। গত এক বছর ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুর বালা রায়ের সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে প্রেমিক অমল চন্দ্র। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রেমিকার পারিবারের পক্ষ থেকে ছেলের পরিবারকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে ছেলের পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করে। এ অবস্থায় প্রেমিক অমল চন্দ্র নানা টালবাহানার পাশাপাশি অন্যত্র বিয়ে করার চেষ্টা চালায়। এরই একপর্যায়ে উপায়ান্ত না পেয়ে বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়িতে অবস্থান নেয় সুর বালা রায় শিল্পী।
প্রেমিকা সুর বালা রায় শিল্পী জানায়, অমল চন্দ্র রায়ের সাথে আমার দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক। সে বিয়ের কথা বলে আমার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়েছে। কিছুদিন ধরে বিয়ের কথা বললে সে কৌশলে আমাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। এখন আমার সর্বনাশ করে অন্যত্র বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজছে। অমল চন্দ্র রায়ের বিয়ের খবর শুনে আমি তার বাড়িতে চলে এসেছি। সে বিয়ে না করা পর্যন্ত এ বাড়ি থেকে যাবো না। আর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে আমি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হব।
এ ব্যাপারে ছেলে অমল চন্দ্রের পিতা নিবারন চৌধুরী বলেন, আমার ছেলে বাড়িতে নাই। তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। সে বাড়িতে আসলে বসে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুস ছালাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
মোগলবাসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বাবলু জানান, দু’পক্ষকে ডেকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ রওশন কবির (তদন্ত) বলেন, ছেলের বাড়িতে প্রেমিকার অনশনের ঘটনাটি শুনেছি। এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।