বরিশাল বিভাগের কোন জায়গায় চাঁদাবাজি করতে দেয়া হবে না। যে চাঁদাবজি করবে এবং যে চাঁদা দিবে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। বুধবার দুপুরে আসন্ন মাহে রমজান ও ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে ব্যবসায়ী এবং পরিবহন নেতৃবৃন্দের সাথে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরিশালের রেঞ্জ ডিআইজ শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান-বিপিএম, পিপিএম এ কথা বলেন। রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের আয়োজনে বরিশাল পুলিশ লাইন্সের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে আয়োজিত সভায় তিনি পুলিশ সুপারদের উদ্দেশ্যে বলেন, যে-ই হোক না কেনে চাঁদাবাজির সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে হবে। আমি দেখবো কোন নেতা-বা কে ছাড়ানোর জন্য তৎবির করে। এসময় তিনি ব্যবসায়ী ও পরিবহন নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, ব্যবসা তো করতেই হবে, সাথে সাথে মানুষকে সেবাও দিতে হবে। দ্রব্যমূল্য কেন্দ্র থেকে যে সবসময়ই বাড়ে এটা ঠিক নয়, স্থানীয়ভাবেও কিন্তু বাড়ানো হচ্ছে। পরিবহন মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ঈদে লঞ্চে ও বাসে যারা যাত্রী হয়ে উঠবেন তাদের নিরাপত্তা ও সেবা এ দুটোই নিশ্চিত করতে হবে ।
লঞ্চগুলোর প্রবেশ দরজায় সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে, পাশাপাশি বাসে যাত্রী তোলার পর গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়ার আগে ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি ধারন করুন। যাতে দুস্কৃতিকারীরা বুঝতে পারে আমরা তাদের সম্পর্কে তথ্য নিয়ে রাখছি, অপরাধ করে ছাড় পাওয়া যাবে না। যেখানে মানুষের ভীড় থাকে সেখানেই কিছু লোক রয়েছে যারা নাশকতা কিংবা অপ্রিতীকর ঘটনার সৃষ্টি করে। এসব রোধে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি ঘরমুখো যাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, অজ্ঞাত পার্টির হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে নিজেদের সচেতন হতে হবে। কারো দেওয়া ডাব, সরবত খাচ্ছেন কিন্তু সেটা কিসের তা জানতে হবে। পাশের যাত্রীর খাবার খাচ্ছেন কিন্তু কেন এ প্রশ্ন মনে থাকতে হবে। অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে বাসে ওঠা সকলের জন্যই ঝুকিপূর্ণ, এ থেকে মালিক-যাত্রী সকলকেই সচেতন হতে হবে। এসময় উপস্থিত সাংবাদিক নেতারা, লঞ্চ ও বাস মালিকদের তাদের ব্যবসার পাশাপাশি যাত্রী সেবা নিশ্চিত করার আহবান জানান, পাশাপাশি লঞ্চ বা বাস চালক না তার সহযোগী চালাচ্ছে সে দিকে দৃষ্টি রাখার আহবান জানান। পরিবহন মালিকরা মহাসড়ক থেকে নছিমন, করিমন, ভটভটি, টমটম, থ্রি হুইলারসহ সকল অবৈধ যান ও নৌ-পথ থেকে ট্রলারসহ সকল অবৈধ যান রোধে প্রশাসনের সকল স্তরের সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এতে দূর্ঘটনা কমবে বলেও তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সভায় অতিরিক্ত ডিআইজি আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে বিভাগের ৬ জেলার পুলিশ সুপার, ব্যবসায়ীক প্রতিনিধি, লঞ্চ ও বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং সাবাংদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।