আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন অনেক আগেই। তবে খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। এবার সেখান থেকেও বিদায় নিলেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা। ইংল্যান্ডের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের মৌসুম শেষেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াবেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
ক্রিকেটের অন্যতম সেরাদের কাতারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেই ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান সাঙ্গাকারা। ইংলিশ কাউন্টিতে মিডলেক্সের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচেও গড়েছেন মাইলফলক। প্রথম শ্রীলঙ্কান হিসেবে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে গড়েছেন ২০ হাজার রানের কীর্তি। এই ক্রিকেটে ৫১.১৮ গড়ে ৬০টি সেঞ্চুরি ও ৮৫টি ফিফটি করেছেন সাঙ্গাকার। সোমবার লর্ডসে ২০ হাজার রানের কীর্তি গড়া ম্যাচের পরই সাঙ্গাকারা প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে নিজের বিদায়ের সিদ্ধান্তের কথা জনান, ‘এবারই শেষ বারের মত এখানে (লর্ডস) চারদিনের ম্যাচ খেললাম। আর কয়েক মাস পরই আমি চল্লিশ-এ পা রাখবো। কাউন্টি ছাড়ার এটাই কারণ।’
যেকোনো খেলোয়াড়েরই একটা নির্দিষ্ট সময় পর অবসরে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সাঙ্গাকারা, ‘কখনো কখনো আপনি মনে করতে পারেন যে আপনি বাস্তবের তুলনায় আরো ভালো করতে পারবেন। আর এটা খুবই বড় একটা ভুল। ক্রিকেটার বা যেকোনো খেলোয়াড়েরই একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। তারপর আপনাকে সরে যেতেই হবে। দীর্ঘ সময় ধরে খেলে যেতে পেরেছি বলে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। কিন্তু এই খেলার বাইরেও জীবনের একটা বড় অংশ থেকে গেছে।’
২০০০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর ২০১৫ সাল পর্যন্ত সাঙ্গাকারা খেলেছিলেন ১৩৪টি টেস্ট। করেছিলেন ১২ হাজার ৪০০ রান। টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহকদের তালিকায় সাঙ্গাকারার নাম আছে পঞ্চম স্থানে। ১৫ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ৪০৪টি ওয়ানডে খেলে তাঁর সংগ্রহ ১৪ হাজার ২৩৪ রান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার আগে শ্রীলঙ্কার হয়ে ১৩৮ টি টেস্ট, ৪০৪টি ওয়ানডে ও ৫৬টি টি-টুয়েন্টি খেলেছেন সাঙ্গাকারা। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা জিতেই এই ফরম্যাটকে বিদায় বলেন সাঙ্গাকারা। অন্যদিকে ২০১৫ বিশ্বকাপে ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলেন। এর কিছুদিন পর টেস্ট ক্রিকেটকেও বিদায় জানান লঙ্কান কিংবদন্তি।