দেশের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকা প্রায় ১৬ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদে সহকারী শিক্ষকদের চলতি দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবারই ঢাকা জেলায় ৮৭ জনকে এ নিয়োগ আদেশ জারি করা হবে।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার (২৩ মে) প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এ কথা জানান।
আদালতে মামলা থাকায় দীর্ঘ আট বছর ধরে সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে ৬৫ শতাংশ প্রধান শিক্ষকদের পদ পূরণ করা সম্ভব হয়নি বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১২ জেলা থেকে পাওয়া গ্রেডেশন (জ্যেষ্ঠতা) তালিকা থেকে আমরা পদোন্নতির সুপারিশ করেছি। তাদের মধ্য থেকেই অস্থায়ীভাবে কারেন্ট চার্জ (চলতি দায়িত্ব) দিয়ে স্কুলগুলোকে পরিচালনা করে নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের বিপরীতে ঢাকা জেলার মধ্য দিয়েই শুরু করতে চাই।’
‘অন্যান্য জেলা থেকে শিক্ষকদের গ্রেডেশনের তালিকা পেলে সেখানেও প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে সহকারী শিক্ষকদের চলতি দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হবে।’
মাঠ পর্যায়ে প্রধান শিক্ষকের অধিকাংশ পদ শূন্য থাকায় শিক্ষার মান্নোয়ন, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনাসহ সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান মন্ত্রী।
প্রধান শিক্ষকের পদটি দুটি প্রক্রিয়ায় পূরণ করা হয়ে থাকে জানিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মোট শূন্য পদের ৩৫ শতাংশ পিএসসির (সরকারি কর্মকমিশন) মাধ্যমে সরাসরি নিয়োগ এবং ৬৫ শতাংশ সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হয়ে থাকে।’
সারা দেশে প্রায় ২১ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এর মধ্যে পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ না হওয়া প্রায় ১৬ হাজার পদ রয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ২০১৪ সালে প্রধান শিক্ষক পদটি তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করায় এ পদে পিএসসির পদোন্নতি দেওয়ার কথা। বিদ্যমান নিয়োগ বিধিতে প্রধান শিক্ষকের পদটি তৃতীয় শ্রেণি থাকায় নিয়োগ বিধি সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত পিএসসির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি প্রদানে জটিলতা সৃষ্টি হয়। ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অধিকাংশ শূন্যপদ পূরণ করা সম্ভব হয়নি।
অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আসিফ-উজ-জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তাফা কামাল, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আতিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।