আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম,পর্যবেক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে চলতি বছরের জুলাই থেকে সংলাপ করবে নির্বাচন কমিশন। এই সংলাপ চলবে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (২৩ মে) গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। আগামী নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সময়সূচি চূড়ান্ত করতে প্রস্তাবিত ‘রোডম্যাপ’ নিয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মঙ্গলবার বৈঠকের পর সিইসি এ তথ্য জানিয়েছেন। নির্বাচন ঘিরে সাতটি বিষয় সামনে রেখে নির্বাচনের খসড়া রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
সিইসি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে নিবন্ধিত দলগুলোসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একবারই সংলাপ করব। সীমানা পুনর্নির্ধারণ, আইন সংস্কার, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নতুন নিবন্ধন, ভোটকেন্দ্র, ইসির সক্ষমতা বাড়ানো ও সবার জন্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি-এ সাত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘খসড়া রোডম্যাপে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমের বিষয়টি রাখা হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলো না চাইলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না। তবে সংলাপে এই ইভিএমের বিষয়টি সামনে আনা হবে। তখন যদি রাজনৈতিক দলগুলো মনে করে, এটা (ইভিএম) দরকার, তাহলে তা ব্যবহার করা হবে নইলে না—এটা পরিষ্কার।’
সংবিধান অনুযায়ী সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের আগে নির্বাচন হবে বলেও জানিয়েছেন কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেছেন, ‘যথাসময়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে। ডিসেম্বরের (২০১৮ সাল) শেষার্ধ্ব থেকে জানুয়ারি (২০১৯ সাল) পর্যন্ত ভোটের জন্য উপযুক্ত সময়। আমরা নিজেরা (কমিশন) বসে ভোটের তারিখ দিব।’
মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সভায় নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন-সংক্রান্ত চারটি বিষয়ে চারজন নির্বাচন কমিশনারকে প্রধান করে চারটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।