লা লিগার এবারের মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন যে রিয়াল মাদ্রিদ হবে তা অনেকটা অনুমিতই ছিল। যদিও দ্বিতীয়স্থানে থাকা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব বার্সেলোনার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল। তবে রিয়াল এক ম্যাচ কম খেলায় শিরোপার দৌঁড়ে তারাই এগিয়ে ছিল। আর শেষ ম্যাচে জয় দিয়ে লা লিগার শিরোপা খরা ঘুঁচিয়ে ৩৩তম শিরোপা নিজেদের ঘরেই তুলেছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।
রবিবার (২১ মে) মালাগার বিপক্ষে অন্তত পক্ষে ড্র করলেও শিরোপা নিশ্চিত ছিল রিয়ালের। তবে ড্রয়ের পথেই হাঁটেনি স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটি। লা রোজালেদায় গিয়ে স্বাগতিক মালাগার বিপক্ষে ম্যাচটি খেললেন একেবারে ফাইনালের মত করে। শেষ পর্যন্ত দুই তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং করিম বেনজেমার গোলে ২-০ ব্যবধানে মালাগাকে হারিয়ে লা লিগায় শিরোপা ঘরে তুলে নিলো লজ ব্লাঙ্কোজরা।
২০১১-১২ মৌসুমের পর দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটলো রিয়ালের। হোসে মরিনহোর হাত ধরে সর্বশেষ শিরোপা এসেছিল রিয়াল মাদ্রিদের। এরপর রাফায়েল বেনিতেজ, কার্লো আনচেলত্তিদের মত কোচরা এসেছেন, আবার ফিরেও গেছেন; কিন্তু লিগ শিরোপা জিততে পারেনি রিয়াল। এবার জিনেদিন জিদানের হাত ধরে লিগ শিরোপা ঘরে তুললো মাদ্রিদের জায়ান্টরা।
মালাগার সঙ্গে ড্র করলেও চ্যাম্পিয়ন হতো রিয়াল। কিন্তু দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রিয়াল সেটা করেনি। জয়ের জন্যই নেমেছিল মাঠে। আর জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। ম্যাচের শুরুতেই চমক দেখান ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। দ্বিতীয় মিনিটেই রিয়ালকে এনে দেন লিড। দারুণ দক্ষতায় মালাগা গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে গোল আদায় করে নেন পর্তুগিজ যুবরাজ।
রিয়ালের দ্বিতীয় গোলটা আসে দ্বিতীয়ার্ধে। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে সফরকারীদের গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করেন করিম বেনজেমা। রাফায়েল ভারানের বাড়িয়ে বলটিতে হেড নেন সার্জিও রামোস। কিন্তু মালাগা গোলরক্ষক তা ঠেকিয়ে দেন। ফিরতি শটে স্বাগতিকদের জাল কাঁপান বেনজেমা।
স্প্যানিশ লা লিগায় ৩৮ ম্যাচ খেলে ২৯টিতে জয় পেয়েছে রিয়াল। হেরেছে ৩টিতে আর ড্র করেছে ৬টি ম্যাচ। ৯৩ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েই মৌসুম শেষ করল জিনেদিন জিদানের দল। ৯০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করেছে বার্সা। তৃতীয় স্থানে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের পুঁজি ৭৮।