আমান গ্রুপের উদ্যোগে দৈনিক ১০ হাজার মেট্রিক টন ও বার্ষিক ৩৫ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে আমান সিমেন্ট মিলস ইউনিট-২। যা একক ইউনিট হিসেবে দেশের সর্বোচ্চ উৎপাদনক্ষম সিমেন্ট কারখানা।
রবিবার (২১ মে) রাজধানীর বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশস সেন্টারে আমান সিমেন্ট মিলস ইউনিট-২ লিমিটেডের উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘মুক্তবাজার অর্থনীতিতে আমদানি শুল্ক আরোপের মাধ্যমে দেশীয় শিল্প সংরক্ষণের সুযোগ অনেক কমে গেছে। এর ফলে স্বল্পোন্নত দেশের উদীয়মান শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশীয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় বাজেটে শুল্ক নির্ধারণ করা হচ্ছে। দেশীয় শিল্পের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হতে পারে এমন সিদ্ধান্ত সরকার গ্রহণ করবে না।’
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে সরকার দেশকে বিশ্ব দরবারে একটি মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। বিশ্বের বড় বড় গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করছে। বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে দেশে সিমেন্টসহ বিভিন্ন শিল্প বিকশিত হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বহুমুখী শিল্প উৎপাদনের মাধ্যমে আমান গ্রুপ জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখে আসছে। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনেও এই প্রতিষ্ঠান ভূমিকা রাখছে। এরই ধারাবাহিকতায় যাত্রা শুরু হলো দেশের বৃহত্তর সিমেন্ট কারখানা। জার্মানির আলট্রামডার্ন ভিআরএম উৎপাদন প্রযুক্তিতে নির্মিত এই কারখানায় রয়েছে আধুনিক স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। বিশ্বের সবচেয়ে বিশ্বস্ত উৎস থেকে এই কারখানার কাঁচামাল সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তিনি বলেছেন, ‘অর্থনীতিতে আরো বেশি অবদান রাখার জন্য আমান গ্রুপের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ১৫০ একর এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে আমান ইকোনমিক জোন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই জোন উদ্বোধন করেছেন। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে এরইমধ্যে আমান সিমেন্ট মিলস, আমান প্যাকেজিং, আমান শিপ ইয়ার্ড, আমান ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, একিন ফিড, আমান গ্রিন এনার্জিসহ আরো কয়েকটি কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য আমান ইকোনমিক জোনে রয়েছে বিনিয়োগ সুবিধা।’