দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে এক মামলার শুনানিকালে দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের বাদানুবাদ হয়। পরে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার মধ্যস্থতায় দুঃখ প্রকাশের মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা হয়।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নিয়োগ পাওয়া ১৩৮ জন চিকিৎসকের বৈধতা নিয়ে এক মামলার শুনানিতে বুধবার (১৭ মে) এ ঘটেছে। মামলাটির রায় হবে আগামী ২১ মে।
আদালতে চিকিৎসকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, এম আমীর উল ইসলাম ও কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া ও তানিম হোসেইন শাওন।
বিএসএমএমইউর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও তানজিব উল আলম।
মামলার শুনানিতে মাহবুবে আলমের বক্তব্য উপস্থাপনের পর আদালত ড. কামাল হোসেনের কাছে বক্তব্য জানতে চান।
তখন ড.কামাল হোসেন বলেন, ‘সিন্ডিকেটে এক সময় (বিএনপি-জামায়াত জোটের সময়) ডাক্তারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এখন ওনারা সেই সিন্ডিকেটের বিপক্ষে স্ট্যান্ড নিচ্ছে। এগুলো হলো ইন্ট্যালেকচুয়াল প্রস্টিটিউশন।’
তখন অ্যাটর্নি জেনারেল দাঁড়িয়ে এ ধরনের শব্দ চয়নের বিষয়ে আপত্তি জানান। কিন্তু ড.কামাল হোসেন অ্যাটর্নি জেনারেলকে চুপ করে নিজ আসনে বসতে বলেন। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আপনি এ ধরনের শব্দ উচ্চারণ করবেন না।’ এ সময় প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপে কামাল হোসেন তার আসনে বসে পড়েন।
পরে প্রধান বিচারপতি ড. কামাল হোসেনকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘আপনি একজন সিনিয়র আইনজীবী। এ ধরণের শব্দ চয়ন ঠিক নয়।’ জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল প্রধান বিচারপতিকে বলেন, ‘আপনি তো ওনাকে তোষামোদ করলেন। একজন সিনিয়র অ্যাডভোকেট যেভাবে আমাকে গালি দিলো এটা কি হবে?’
এ সময় আদালত বিরতিতে যান। বিরতি শেষে কোর্ট বসার পর ড. কামাল হোসেন শব্দ চয়ন নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলে বিষয়টির অবসান হয়।