নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
প্রতি বছর রমজান আসলেই বেপরোয়া হয়ে উঠে বরিশালের বিভিন্ন বাজারের অসাধু ব্যবসায়ীক সিন্ডিকেট। আর এমন ঘটনার জন্য স্বয়ং জেলা প্রশাসক নিজেই মাঠে নামেন ভ্রাম্যমান আদালত নিয়ে। নানা ধরনের ইফতারের দোকানেও দেখা গেছে বরিশালের জেলা প্রশাসকসহ ভ্রাম্যমান আদালত। কিন্তু এবার বাজার সিন্ডিকেটের অসাধু ব্যবসায়ীরা মহামান্য হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা পেয়েই শুরু করেছে বাজার সিন্ডিকেট। সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি বাজারে তার মূল্য তালিকার চার্ট থাকার কথা থাকলেও অনেক বাজারে দেখা মেলে না তার। আর মোবাইল কোর্ট এর পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার অভিযান পরিচালনা করলেও তাদের জনবলে রয়েছে চরম সংকট। তবে বরিশালের বিশিষ্টজনরা মনে করেন, মোবাইল কোর্ট বন্ধ হওয়ার কারনে অসাধু ব্যবসায়ীরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে।
বরিশাল সিটি শহর হলেও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রট এর তেমন কোন স্বরব অভিযান চোখে পরে না। রসের মাস জ্যৈষ্ঠর শুরুতেই অসাধু ফল ব্যবসায়ীরা ফরমালিন যুক্ত ফলে বাজার সয়লাভ করে থাকে। মাঠে সক্রিয় ভাবে মোবাইল কোর্ট থাকলে এসকল ব্যবসায়ীরা আতংকে থাকে। তবে মোবাইল কোর্ট না থাকলে বাজারে ঠকতে হবে সাধারন মানুষকে। গতকাল নগরীর বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেন, মোবাইল কোর্ট আমাদের জন্য আর্শিবাদ যা না থাকলে সাধারন মানুষের নাকে দড়ি দিয়ে ঘুড়াবে নগরী অসাধু ব্যবসায়ীরা। বরিশালে ফলের সবচেয়ে বেশি সমাগম ঘটে নগরী পোর্ট রোডে। আর সেখানে দেখা মেলে নানা ধরনের ফরমালিন মিশ্রিত ফলের। তবে ফল ব্যবসায়ীরা অধিক মুনফা লাভের আশায় নিরালস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ফল ব্যবসায়ী জানান, ভাই আমরা অনেক দিন পরে একটু স্বস্তি পেলাম। কারন হিসাবে তিনি জানান, আগে ব্যবসায় অসাধুতার চিন্তা করা যেত না। প্রতিনিয়তই জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের মোবাইল কোর্ট অভিযান থাকে। এখন দেখেন, আমাদের ফরমালিন যুক্ত ফল আড়াল করতে হয় না কারন আমাদের মনিটরিং করার আর কেউ নেই।
বাংলাদেশের একটি অতি সাধারন চিত্র যে কোন উৎসবকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফা লাভের উৎসবে মেতে উঠে। এ সময়ে শুরু হয় মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার এই মাসকে কেন্দ্র করে দেশের প্রতিটি বাজার রমরমা হয়ে উঠছে। এই মাসে অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন অতি মুনফা করতে না পারে এবং ভেজাল পন্য বিক্রি না করতে পারে সে জন্য সরকার ২০০৯ সালে মোবাইল কোর্ট আইন প্রনয়ন করে নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক ভ্রম্যমান আদালতের মাধ্যমে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করত। বাজারের সাধারন ক্রেতা শ্রেনী সাধারনত এই অভিযানের উপর পূর্ন আস্থা রেখে আসছে। দীর্ঘ ৮ বছরে এই মোবাইল কোর্ট হয়ে উঠছে জনগনের একটি আস্থা ও বিশ্বাসের শেষ আশ্রয় স্থল। অন্যদিকে অতি মুনফা লোভি ও ভেজাল পন্য বিক্রেতার নিকট এটি একটি ভীতির জায়গা হিসাবে পরিনত হয়। প্রতি রমজানে সাধারন ক্রেতারা পন্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট বাজার মূল্য ও বিশুদ্ধ খাদ্যের নিশ্চয়তা দিবে বলে যে ধারনা পোষন করে আসছিলো, এ বছর মোবাইল র্কোট অবৈধ ঘোষনার প্রেক্ষিতে অনেকটাই আশংঙ্খায় রয়েছে। বাজার ঘুরে জানা গেছে, নগরীর বড় বড় বাজার গুলোতে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতি মুনফা লাভের প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছে। বাংলা বাজারের একজন নিয়মিত ক্রেতা জানান, আমাদের সাধারন মানুষের অধিকার নিশ্চিতের জন্য যে আশ্রয়ের জায়গাটি ছিলো, নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক মোবাইল কোর্ট অবৈধ ঘোষনা হওয়ায় তা বন্ধ হয়ে গেলো। আমি সরকারের দৃষ্টি আর্কষন করছি যেন ভোক্তার অধিকার নিশ্চিতের জন্য কার্যকরি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
নগরীর সকল বাজারের ক্ষেত্রেই পূর্বের বছর গুলোতে দেখা যেত সকল বিক্রেতার দোকানের সামনে বাজার মুল্য প্রদর্শিত হত। মোবাইল কোর্ট বন্ধ হচ্ছে জেনে অনেক ব্যবসায়ী এখন মূল্য তালিকা প্রদর্শন করছে না। সাধারন ক্রেতারা পবিত্র এই মাসে যৌক্তিক মূল্যে পন্য ক্রয় ও ভেজাল মুক্ত খাবারের প্রত্যাশা রাখছে সরকারের প্রতি।ন্ন বাজারের অসাধু ব্যবসায়ীক সিন্ডিকেট। আর এমন ঘটনার জন্য স্বয়ং জেলা প্রশাসক নিজেই মাঠে নামেন ভ্রাম্যমান আদালত নিয়ে। নানা ধরনের ইফতারের দোকানেও দেখা গেছে বরিশালের জেলা প্রশাসকসহ ভ্রাম্যমান আদালত। কিন্তু এবার বাজার সিন্ডিকেটের অসাধু ব্যবসায়ীরা মহামান্য হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা পেয়েই শুরু করেছে বাজার সিন্ডিকেট। সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি বাজারে তার মূল্য তালিকার চার্ট থাকার কথা থাকলেও অনেক বাজারে দেখা মেলে না তার। আর মোবাইল কোর্ট এর পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার অভিযান পরিচালনা করলেও তাদের জনবলে রয়েছে চরম সংকট। তবে বরিশালের বিশিষ্টজনরা মনে করেন, মোবাইল কোর্ট বন্ধ হওয়ার কারনে অসাধু ব্যবসায়ীরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। বরিশাল সিটি শহর হলেও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রট এর তেমন কোন স্বরব অভিযান চোখে পরে না। রসের মাস জ্যৈষ্ঠর শুরুতেই অসাধু ফল ব্যবসায়ীরা ফরমালিন যুক্ত ফলে বাজার সয়লাভ করে থাকে। মাঠে সক্রিয় ভাবে মোবাইল কোর্ট থাকলে এসকল ব্যবসায়ীরা আতংকে থাকে। তবে মোবাইল কোর্ট না থাকলে বাজারে ঠকতে হবে সাধারন মানুষকে।
গতকাল নগরীর বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেন, মোবাইল কোর্ট আমাদের জন্য আর্শিবাদ যা না থাকলে সাধারন মানুষের নাকে দড়ি দিয়ে ঘুড়াবে নগরী অসাধু ব্যবসায়ীরা। বরিশালে ফলের সবচেয়ে বেশি সমাগম ঘটে নগরী পোর্ট রোডে। আর সেখানে দেখা মেলে নানা ধরনের ফরমালিন মিশ্রিত ফলের। তবে ফল ব্যবসায়ীরা অধিক মুনফা লাভের আশায় নিরালস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ফল ব্যবসায়ী জানান, ভাই আমরা অনেক দিন পরে একটু স্বস্তি পেলাম। কারন হিসাবে তিনি জানান, আগে ব্যবসায় অসাধুতার চিন্তা করা যেত না। প্রতিনিয়তই জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের মোবাইল কোর্ট অভিযান থাকে। এখন দেখেন, আমাদের ফরমালিন যুক্ত ফল আড়াল করতে হয় না কারন আমাদের মনিটরিং করার আর কেউ নেই। বাংলাদেশের একটি অতি সাধারন চিত্র যে কোন উৎসবকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফা লাভের উৎসবে মেতে উঠে। এ সময়ে শুরু হয় মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার এই মাসকে কেন্দ্র করে দেশের প্রতিটি বাজার রমরমা হয়ে উঠছে। এই মাসে অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন অতি মুনফা করতে না পারে এবং ভেজাল পন্য বিক্রি না করতে পারে সে জন্য সরকার ২০০৯ সালে মোবাইল কোর্ট আইন প্রনয়ন করে নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক ভ্রম্যমান আদালতের মাধ্যমে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করত। বাজারের সাধারন ক্রেতা শ্রেনী সাধারনত এই অভিযানের উপর পূর্ন আস্থা রেখে আসছে।
দীর্ঘ ৮ বছরে এই মোবাইল কোর্ট হয়ে উঠছে জনগনের একটি আস্থা ও বিশ্বাসের শেষ আশ্রয় স্থল। অন্যদিকে অতি মুনফা লোভি ও ভেজাল পন্য বিক্রেতার নিকট এটি একটি ভীতির জায়গা হিসাবে পরিনত হয়। প্রতি রমজানে সাধারন ক্রেতারা পন্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট বাজার মূল্য ও বিশুদ্ধ খাদ্যের নিশ্চয়তা দিবে বলে যে ধারনা পোষন করে আসছিলো, এ বছর মোবাইল র্কোট অবৈধ ঘোষনার প্রেক্ষিতে অনেকটাই আশংঙ্খায় রয়েছে। বাজার ঘুরে জানা গেছে, নগরীর বড় বড় বাজার গুলোতে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতি মুনফা লাভের প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছে। বাংলা বাজারের একজন নিয়মিত ক্রেতা জানান, আমাদের সাধারন মানুষের অধিকার নিশ্চিতের জন্য যে আশ্রয়ের জায়গাটি ছিলো, নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক মোবাইল কোর্ট অবৈধ ঘোষনা হওয়ায় তা বন্ধ হয়ে গেলো। আমি সরকারের দৃষ্টি আর্কষন করছি যেন ভোক্তার অধিকার নিশ্চিতের জন্য কার্যকরি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। নগরীর সকল বাজারের ক্ষেত্রেই পূর্বের বছর গুলোতে দেখা যেত সকল বিক্রেতার দোকানের সামনে বাজার মুল্য প্রদর্শিত হত। মোবাইল কোর্ট বন্ধ হচ্ছে জেনে অনেক ব্যবসায়ী এখন মূল্য তালিকা প্রদর্শন করছে না। সাধারন ক্রেতারা পবিত্র এই মাসে যৌক্তিক মূল্যে পন্য ক্রয় ও ভেজাল মুক্ত খাবারের প্রত্যাশা রাখছে সরকারের প্রতি।