ঔষধ উদ্ধারের ঘটনার জের ধরে এবার বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে অভিযান চালিয়ে ইনচার্যকে (সেবিকা) বিলকিস বেগমকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
আজ বেলা আড়াইটার দিকে তাকে হাসপাতালের ৪ তলার ওই ওয়ার্ড থেকে ইনচার্জকে আটক করা হয়। এসময় হাসপাতালের পরিচালক, উপ-পরিচালকসহ নার্সিং নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেনি স্টাফ কোয়ার্টার কম্পাউন্ডে র পুকুরে থেকে ভাসমান অবস্থায় অর্ধলক্ষাধিক টাকার সরকারি ঔষধ উদ্ধারের ঘটনার সূত্র ধরেই তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার(ডিসি) গোলাম রউফ খান।
তিনি জানান, কোয়ার্টারের পুকুর থেকে ঔষধ উদ্ধার ও হাসপাতালের স্টাফ শেফালি বেগম, তার ছেলে মামনুকে আটকের পর পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই সূত্র ধরেই তদন্ত করে আজ দুপুরে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে অভিযান চালানো হয়। এসময় হাসপাতাল প্রশাসনের সহায়তায় তল্লাশি চালিয়ে ওয়ার্ডের সেবিকা কক্ষ থেকে বিপুল পরিমান সরকারি ঔষধের মজুদ পাওয়া যায়। পাশাপাশি বিছানার চাদরসহ অন্যান্য মালামালও রয়েছে।
যা স্বাভাবিক নিয়মের বহির্ভূত হিসেবে হাসপাতাল প্রশাসন জানিয়েছেন। এজন্য ওই ওয়ার্ডের ইনচার্জ স্টাফ নার্স (সেবিকা) বিলকিস বেগমকে আটক করা হয়েছে।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, পাশাপাশি তদন্ত কার্যেক্রমও চলমান রয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িত সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
হাসপাতালের পরিচালক এসএম সিরাজুল ইসলাম জানান, এই নার্সের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অভিযোগ ছিলো, নার্সিং কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানোও হয়েছে। তাকে এই ওয়ার্ড থেকে সরিয়েও দিতে বলা হয়েছিলো। এখন তার মজুদে যে ঔষধ পাওয়া গেছে তা স্বাভাবিকের চেয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে বেশি। যদি গড়ে দেড়-দুই’শ রোগী এই ওয়ার্ডের ৪ টি ইউনিটে থাকে তবে এ দিয়ে ৩/৪ মাস এই ওয়ার্ডের রোগীকে সেবা দেয়া যেতো।
হfসপাতালের নার্সিং তত্ত্বাবধায়ক মমতাজ বেগম জানান, তিনি যোগদানের পরই তার বিরুদ্ধে কিছু মৌখিক অভিযোগ শুনেছেন। তবে লিখিত অভিযোগ পাননি। এখন যেহেতু হাসপাতাল প্রশাসন পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তাই তাদের হাতে বিষয়টি রয়েছে। কোন ধরনের সহযোগীতা প্রয়োজন হলে তা করা হবে।
উল্লেখ্য গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে কোয়র্টোরের ৪ নম্বর ভবনের সামনের একটি মজা পুকুরে অর্ধলক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন ধরনের সরকারি ঔষধ ও ইকুইপমেন্ট ভাসতে দেখে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বেলা ১ টার দিকে ঔষধগুলো উদ্ধার শেষে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী শেফালি বেগম ও তার ছেলে হাসপাতালের স্থগিত হওয়া নিয়োগের কর্মচারী মামুনকে আটক করে। এসময় তাদের বাসা (২নম্বর ভবনের দ্বিতীয়তলা) থেকে কিছু সরকারি ঔষধ ও তুলাসহ, যন্ত্রপাতি (সরকারি/বেসরকারি) উদ্ধার করা হয়।