অনলাইন ডেস্কঃ
বিদেশে টাকা পাচার রোধে সরকার জমির মূল্য নির্ধারণ করে দেবে না বলে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘টাকা পাচার হচ্ছে জানি। টাকা পাচারের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। আমরা একটা ল্যান্ড প্রাইস ফিক্সড করে দিই কিন্তু একচুয়াল প্রাইস অনেক বেশি হয়। এই টাকা কী করবে, এটা এ দেশে ব্যবহার করতে পারে না কারণ কালোটাকা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন চিন্তা করছি, কোনো ল্যান্ড প্রাইস রাখব না। দেয়ার শুড বি নো ল্যান্ড প্রাইস। দাম বাজারই নির্ধারণ করবে। এটা টাকা পাচার প্রতিরোধে কাজ করবে।’
আজ শনিবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘অন্য স্টেপটা হলো, আমাদের দেশে এখন বিনিয়োগ পরিবেশ ভালো। ২০১৫ ও ২০১৬ দুটি বছর পেয়েছি শান্তিপূর্ণ। দুটি বছরে আমাদের শ্রমিকরা প্রমাণ করেছেন তারা দেশে হরতাল ও অন্যান্য ধরনের শান্তির ব্যাঘাত সহ্য করবে না। এর ফলে একটা কনফিডেন্ট এসেছে, এর রেসপন্স আমরা দেখতে পাব।’
তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ যেটা হয়তো স্থবির হয়তো বিদেশে যাচ্ছে, সেটার কিছুটা আমাদের দেশে হবে। এখন বিনিয়োগের সুযোগ প্রচণ্ড, ডমেস্টিক মার্কেট ইজ এক্সপান্ডিং। সুতরাং এখানে বসেই যথেষ্ট পয়সা বানানোর সুযোগ পাবেন। এটা যখন দেখবেন বিনিয়োগকারীরা, তারা আসবেন।’
সরকার এলাকাভেদে ন্যূনতম জমির দাম নির্ধারণ করে দেয়। প্রকৃত অনেক বেশি দামে জমির বিক্রি হলেও জমির মালিকরা সরকারি নির্ধারিত ন্যূনতম দাম ধরে কর পরিশোধ করে থাকেন। অতিরিক্ত টাকা কালোটাকা হিসেবে বিদেশে পাচার হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে ইআরএফের সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।