জীবনযাত্রার ব্যয় ও মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় রেখে সরকারি চাকুরেদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির উপায় নির্ধারণ করে সুপারিশ দিতে একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের এ কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মঙ্গলবার (৯ মে) এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
এর আগে গত ১২ মার্চ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
‘সরকারি কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ বেতন-ভাতা নির্ধারণ ও পরিবর্ধনের বিষয় পর্যালোচনা সংক্রান্ত কমিটি’কে আগামী ৯০ দিনের (৩ মাস) মধ্যে সরকারের কাছে সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, কমিটি সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি তাদের জীবন-যাত্রার ব্যয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখার এবং মুল্যস্ফীতির সাথে সমন্বয় করার উপায় নির্ধারণে সার্বিক বিষয় বিচার-বিশ্লেষণ করে একটি সুচিন্তিত সুপারিশমালা প্রণয়ন করবে।
কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পরিসংখ্যান বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংক হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে রয়েছেন। অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
২০১৫ সালের জুলাই থেকে নতুন বেতন কাঠামোর অধীনে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এই পে-স্কেলে প্রতি বছর মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধির নিয়ম রাখা হয়েছে।
পাঁচ বছর পর পর বেতন বৃদ্ধি বা স্থায়ী বেতন কমিশন গঠনের পরিবর্তে এ পদ্ধতিটি কার্যকর কিনা তা দেখতে এই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ১২ মার্চ বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সরকারি চাকুরেদের বেতন-ভাতা নির্ধারণে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি সেল গঠন করা হবে।