রাজধানীর মালিবাগে স্ত্রীসহ পুলিশের পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া তাদের সন্তান ঐশী রহমানের মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় যে কোনোদিন।
রবিবার (৭ মে) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির, সঙ্গে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম। অপরদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আফজাল এইচ খান ও সুজিত চ্যাটার্জি।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা ঐশীর দণ্ড বহাল রাখার আর্জি জানান। অপরদিকে বয়স বিবেচনায় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এই ঘটনায় ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে ঐশীকে হাইকোর্টে হাজির করা হয়। সেদিন খাস কামরায় দুই পক্ষের আইনজীবীর উপস্থিতিতে তার সঙ্গে কথা বলেন বিচারক।
এই মামলায় ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর ঐশী রহমানকে দুবার মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ। এছাড়া ঐশীকে আশ্রয় দেওয়ায় তার বন্ধু মিজানুর রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অন্য আসামি আসাদুজ্জামান জনিকে খালাস দেন আদালত।
নিম্ন আদালতের রায়ের পর ঐশীর মামলাটি ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। একইসঙ্গে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন ঐশীর আইনজীবী। সেই ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি গত ১২ মার্চ হাইকোর্টে শুরু হয়, যা রবিবার শেষ হলো।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট নিজ বাসা থেকে স্ত্রী স্বপ্না রহমানসহ মাহফুজুর রহমানের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরদিন ঐশী গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত মাহফুজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান ওই দিনই পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই বছর ২৪ আগস্ট ঐশী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তবে পরে তিনি ওই জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
নোটঃ ( ওয়েব সাইড এর আপডেটের কাজ চলায় অাজকের নিউজটি ৭ তারিখের বদলে ৩ তারিখ দেওয়া হলো।সাইড আপডেটের কাজ শেষ হলেই আবার পুনরায় ৭ তারিখ দেওয়া হবে।সাময়িক অসুবিধার জন্য অান্তরিক দুংখ প্রকাশ করছি। )