বুধবার , ৩ মে ২০১৭ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

১০ বিদ্যুৎকেন্দ্রে সেনাসদস্য মোতায়েন গ্রিনপিসের রিপোর্ট প্রত্যাখান করলেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

প্রতিবেদক
alltimeBDnews24
মে ৩, ২০১৭ ১০:৩৮ অপরাহ্ণ

 

রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিস যে রিপোর্ট বা মন্তব্য করেছে তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, ‘সুন্দরবনের একটি প্রজাপতিও যাতে কোনো ধরনের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার শিকার না হয় সেদিকে আমরা নজর রাখছি।’

জাতীয় সংসদে রবিবার (৭ মে) ময়মনসিংহ থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন বিকেল সোয়া ৫টায় সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।

নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘রামপালে যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে তা আলট্রা সুপার ক্লিনিক্যাল টেকনোলজি মেনেই করা হচ্ছে। এ টেকনোলজিতে তৈরি জাপানের লোকাহামা শহর ও ইন্দোনেশিয়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে চলছে। সেখানে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। এসব প্রকল্প অন্তত ৫০ বছর ধরে চলে আসছে। অথচ আমরা যখন সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং পরিবেশগত ৬০টি বিষয় মেনে বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করতে যাচ্ছি তখন বিভিন্ন মহল তাতে বাধা দিচ্ছে। আমরা আগামী ৫০ বছরে দেশের বিদ্যুতের চাহিদার কথা মাথায় রেখে একটি মহাপরিকল্পনা তৈরি করেছি। তাই কোনো অবৈজ্ঞানিক তথ্য আমরা মানতে রাজি নই। বিজ্ঞানভিত্তিক কথা শুনতে চাই।’

নসরুল হামিদ আরো বলেন, ‘রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি ১৩২০ মেগাওয়াট। এটি তৈরি করতে আমাদের ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে। এখানে ৫০-৫০ শতাংশ শেয়ারে কাজ করছে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফেন্ডশিপ কোম্পানি। ভারতের এনটিপিসি কোম্পানি এবং বাংলাদেশের পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড। তারা সমান সমান অংশীদার। এতে অর্থায়ন করেছে ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক। যার সঙ্গে নরওয়ে সরকার বা নরওয়ের গ্রিনপিসের কোনো যোগ আছে বলে মনে হয় না। কেন তারা রামপালে বিদ্যুকেন্দ্র নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য দিচ্ছে তা বলা মুশকিল। তাছাড়া আমাদের দেশের তথাকথিত পরিবেশবাদীরা এ নিয়ে নানা ধরনের মনগড়া মন্তব্য করেছেন । তাদের নিয়ে আমি বসেছি। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা বিজ্ঞানভিত্তিক কথা বলছে না। তারা শুনে কথা বলেন। আমি এ বিষয়ে পরিবেশবিদদের সঙ্গে কথা বলতে চাই। যখন পদ্মা সেতু তৈরির কথা হয়, তখন অনেকে বলেছিলেন পদ্মা মরে যাবে, পদ্মার ইলিশ প্রজনন কমে যাবে; অথচ বেড়ে গেছে।’

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার সময় আমরা তিনটি স্থান নির্বাচন করি। তার মধ্য থেকে আমরা সবচেয়ে নিরাপদ স্থান বাছাই করি। যৌথ কোম্পানি কাজ করছে। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ জায়গা বাছাই করা হয়েছে। জনবহুল জায়গা থেকে অনেক দূরে। যারা এ টেকনোলজি ব্যবহার করছে, সেখানে ধোঁয়া দেখা যায় না। একবিন্দু অ্যাঁশও বাইরে বের হবে না। জাপানে ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় হয়েছে। ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে এটা হচ্ছে। সাংবাদিক বা এ্যাক্টিভিসরা বলছেন, অ্যাসিড বৃস্টি হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। তাহলে বড় পুকুরিয়া কয়লা পাওয়ার প্লান্ট আছে। সেখানে কিন্তু আল্ট্রা সুপার টেকনোলজি ব্যবহার হয়নি। আজ পর্যন্ত কি কোনো এক্সিডেন্ট হয়েছে? সেখানে আম-লিচু সবচেয়ে বেশি হয়। মাতারবাড়িতেও এ ধরনের প্রকল্প করেছি। মহেশখালীতেও করেছি। তাহলে কি কক্সবাজার ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কথা, কয়েক লাখ মানুষ মারা যাবে?’

রামপালের যে স্থানে এ প্রকল্পটি হচ্ছে তা জনবহুল জায়গা থেকে অনেক দূরে দাবি করে তিনি বলেছেন, ‘সুন্দরবন থেকে এটি ১৪ কিলোমিটার এবং পশুর নদীর পাড় হতে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে হচ্ছে। যেমন ধরুন, কুমিল্লায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে আর আপনি বাস করছেন ঢাকায়।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এখন পৃথিবীতে ৪৬ শতাংশ রয়েছে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রে এমন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে যাতে কোনো ধরনের ধোঁয়া বের হবে না। এখানে যেহেতু কয়লার ব্যবহার হচ্ছে তাই কার্বনে সালফিক কনটেন্ট থাকবে। তবে তা এতটাই কম যে ১ শতাংশ ছাইও দেখা যাবে না। এখানে সালফার বৃষ্টি হবে এসব কথা শোনা যাচ্ছে, এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এখানে আমরা প্রি-সালফিজেশন প্লান্ট বসাচ্ছি। যা সালফার বের হতে দেবে না।’

নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘অনেকে বলছেন গ্রিনপিস বলছে আগামী ৪০ বছরে এ প্রকল্পের কারণে নাকি ৯ হাজার শিশু বিকালাঙ্গ হবে। কিন্তু এসব বাজে কথা, সায়েন্টিফিক কথা ছাড়া কোনো কথা গ্রহণযোগ্য নয়। তা যদি হবে তাহলে বিশ্বের প্রায় ৪৬ শতাংশ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চলছে কিভাবে। সেখানে কতজন বিকলাঙ্গ শিশু জম্মাছে। আবার অনেকে বলেছেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারা এসব কি করে বলেন বোধগম্য নয়।’

প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘এ প্রকল্পের সাথে সাথে আমরা পরিবেশগত দিকটিও বিচার বিবেচনায় রেখেছি। পরিবেশগত ৬০টি বিষয় আমাদেরকে মেইনটেইন করতে হচ্ছে। সুন্দরবনের একটি প্রজাপতিও যাতে কোনো ধরনের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার শিকার না হয় সেদিকে আমরা নজর রাখছি।’

খুলনা-১ এর এমপি পঞ্চানন বিশ্বাসের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘বর্তমানে দেশের একজন মানুষ ৪৫০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকেন। কিন্ত আমরা যদি মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরিত হতে চাই তাহলে বিদ্যুতের ব্যবহার ১৫০০ কিলোওয়াট ব্যবহার করতে হবে। তাই আমরা আগামী ৫০ বছরের বিদ্যুৎ চাহিদার কথা মাথায় রেখে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। যা বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছে সরকার।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘যদি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতির হতো তা হলে পৃথিবীতে এতগুলো প্রকল্প ৪৫-৫০ বছর ধরে কিভাবে চলছে?’

১০ বিদ্যুৎকেন্দ্রে সেনাসদস্য মোতায়েন

জামালপুর-২ আসনের এমপি মো. ফরিদুল হক খানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন সংস্থা/কোম্পাসিমূহের মোট ১৭৪টি স্থাপনাকে কেপিআই হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আরও ২১টি স্থাপনাকে কেপিআই হিসেবে ঘোষণার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎকেন্দ্রে সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাছাড়া গুরুত্বানুসারে বিদ্যুৎকেন্দ্র সমূহে নিজস্ব নিরাপত্তা প্রহরীর সাথে আনসার অঙ্গীভুত করা হয়েছে এবং কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বিদ্যুৎকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ক্ষমতা বেশি থাকায় বিদ্যুৎ ঘাটতি পরিলক্ষিত হয় না

চট্টগ্রাম-১১ আসন থেকে নির্বাচিত সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম, আবুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঢাকার পার্শ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় সরকারি কোম্পানি রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল)-এর মাধ্যমে ৩৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর নাগাদ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

ঢাকা-১৫ আসনের এমপি কামাল আহমেদ মজুমদারের এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘বর্তমানে দেশে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে প্রায় ৮ হাজার ৫শ মেগাওয়াট থেকে ৯ হাজার ২শ মেগাওয়াট। বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের মোট স্থাপিত উৎপাদিন ক্ষমতা ১৫ হাজার ৩৭৯ মেগাওয়াট (ক্যাপ্টিভসহ)।’

তিনি বলেছেন, “বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ক্ষমতা বেশি থাকায় বিদ্যুৎ ঘাটতি পরিলক্ষিত হয় না। তবে ভবিষতে বিদ্যুৎ চাহিদা বিবেচনা করে ও ‘সবার জন্য বিদ্যুৎ’ সুবিধা নিশ্চিতকল্পে সরকার যুগোপযোগী বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা প্রণয়ণ এবং যথাসময়ে সেগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।”

সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিতকল্পে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমানে মোট ১১ হাজার ৩৬৩ মেগাওয়া ক্ষমতার ৩৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২০১৭ হতে ২০২১ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। ৪ হাজার ৯১৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ২০১৮ হতে ২০২৩ সালের মধ্যে এগুলো পর্যায়ক্রমে চালু হবে। এ ছাড়া ৬ হাজার ৪১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও ১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নতুন নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি পরমাণু শক্তি নির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রম এবং আঞ্চালিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম সম্প্রসাররে উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন নসরুল হামিদ।

মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে জাপান

চট্টগ্রাম-৪ আসনের এমপি দিদারুল আলমের আরেক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘জাপানের সুমিতোমো করপোরেশন কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্র স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। বর্তমানে সেখানে তারা ফ্যাসিবিলিত স্টাডির কাজ করছে। ফ্যাসিবিলিটি স্টাডির প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রকল্পটি লাভজনক হলে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।’

২০২১ সালের মধ্যে ২ কোটি ৫০ লাখ গ্রাহককে সংযোগ

মানিকগঞ্জ-২ আসনের এমপি মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, দারিদ্র বিমোচন ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বিদ্যুৎ অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে। এর ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশের মানুষের শতভাগ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। শতভাগ বিদ্যুতায়নের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ২০২১ সালের মধ্যে ৪ লাখ ৭২ হাজার কিলোমিটার বিতরণ লাইন নির্মাণ ও ২ কোটি ৫০ লাখ গ্রাহক সংযোগ প্রদানের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের সকল বিদ্যুৎবিহীন গ্রাম ২০২১ সালের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা সম্ভব হবে এবং সে লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান আছে।

নোটঃ ( ওয়েব সাইড এর আপডেটের কাজ চলায় অাজকের নিউজটি ৭ তারিখের বদলে  ৩ তারিখ দেওয়া হলো।সাইড আপডেটের কাজ শেষ হলেই আবার পুনরায় ৭ তারিখ দেওয়া হবে।সাময়িক অসুবিধার জন্য অান্তরিক দুংখ প্রকাশ করছি।   )

(Visited ৭ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত