জুনের ১ তারিখ শুরু হতে যাচ্ছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। র্যাংকিং এর শীর্ষ ৮ দল সুযোগ পেয়েছে এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ইংল্যান্ডের মাটিতে আইসিসির এই বিগ ইভেন্টের জন্য ২৫ এপ্রিল দল পাঠানোর শেষ দিন ছিল। কিন্তু অংশগ্রহণকারী ৭ টি দল তাদের স্কোয়াড পাঠালেও এখনো পাঠায় নি ভারত! আইসিসির অর্থ মডেল পছন্দ না হওয়ায় আইসিসির বিরুদ্ধে বিদ্রোহই ঘোষণা করতে চেয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) একটা অংশ।
তবে আরেক অংশ ভবিষ্যতের বাজে পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে এখনো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কটের সিদ্ধান্ত নেননি। কেননা, ভারত যদি ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কট করে তাহলে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইসিসির কোনো ইভেন্টে হয়তো অংশ নিতে পারবে না!
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এর সঙ্গে সব সদস্য দেশের একটা চুক্তি আছে। এটিকে বলা হয় মেম্বার্স পার্টিসিপেশন অ্যাগ্রিমেন্ট (এমপিএ)। ভারত যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বর্জন করে তবে সেটা এমপিএ ভঙ্গ করা হবে। যার ফলে ভারতকে বিশাল শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
২০১৭-২০২৩ এই ছয় বছরে আইসিসির ১৪ টি বড় ইভেন্ট আছে। ভারত ইংল্যান্ডের মাঠে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করলে আগামী ছয় বছরে দুইটি বিশ্বকাপ (২০১৯, ২০২৩), দুইটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি (২০১৭, ২০২১), দুইটি নারী বিশ্বকাপ (২০১৭, ২০২১), তিনটি মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (২০১৮, ২০২০, ২০২২), ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, তিনটি অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ও আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (২০২১) তে অংশ নিতে পারবে না।
এদিকে, ৭ই মে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিশেষ সভা ডাকা হয়েছে। সভায় থাকবেন বোর্ডের ৩০ জন সদস্য। সবাই সম্মতি দিলে আইসিসিকে নোটিশ পাঠাবে ভারত। অন্যথায় নতুন পরিকল্পনায় যাবে দেশটি। তবে বয়কটের সিদ্ধান্তে গেলে নিজেদের ক্ষতি ডেকে আনবে দেশটি।