জয়পুরহাট প্রতিনিধি : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমান সিনহা বলেছেন, ‘অতি উৎসাহী কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকার প্রধানকে ভুল রিপোর্ট দিয়ে বিচার বিভাগের ক্ষতি করছে এবং সরকারকে বিপথগামী করছে। যে কারণে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যাচ্ছে না। এতে বিচার বিভাগের ক্ষতি হচ্ছে, জনগণ ও রাষ্ট্রের ক্ষতি হচ্ছে, আইন-শৃ্ঙ্খলার ক্ষতি হচ্ছে।’
জয়পুরহাটে বুধবার (৩ মে) দুপুরে জেলা বারের সংবর্ধনা সভায় এসব কথা বলেছেন প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি আক্ষেপ করে আরও বলেছেন, ‘আগে ফুল কোর্টের সিদ্ধান্তগুলো নিয়ম মতো বাস্তবায়ন হতো, এখন সেগুলো হয় না। কারণ, প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝানো হয়। আমি এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না, এতে তারা বিব্রত বোধ করবেন। আমি সরকার বা মন্ত্রীর সাথে বাহাস করতে চাই না।’
এ সময় তিনি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বিচার নিজের হাতে তুলে না নিতে আইনজীবীদের পরামর্শ দিয়েছেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আইনজীবীদের আরো এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। যদি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হয় তাহলে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে না। দেশের জনগণ, বিচার প্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়বে।
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘তিনি (প্রথানমন্ত্রী) বিচার বিভাগের জন্য যথেষ্ঠ আন্তরিক কিন্তু কিছু মানুষ তাকে ভুল বুঝাচ্ছেন। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।’
জেলা আইনজীবি সমিতির কার্যালয়ে সমিতির সভাপতি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডলের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পিপি মোমিন আহম্মেদ চৌধুরী, জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহিন, প্রবীণ আইনজীবী খাজা জহুরুল হকসহ সিনিয়র আইনজীবীরা।
প্রধান বিচারপতি জেলা আদালতের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং বিকেলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের সাথে মতবিনিময় করেন।