রির্পোটঃজাকারিয়া আলম দিপু.
আমাদের প্রত্যেকের সপ্ন আছে, অাছে চাওয়া-পাওয়ার হিসেব।তবুও আমরা সপ্ন দেখি।একটা সময় টেলিভিশান এর ঢাকা শহরের বড় বড় বিল্ডিং গুলো দেখলে বিশ্বাস হতো না যে এমন সব বিল্ডিং আমার দেশে আছে । তখন খুব ছোট ছিলাম বলে ? না ! এখন যে বয়সে একটা ছেলে কম্পিউটার চালাতে পারে, পৃথিবীর অনেক কিছু সর্ম্পকে জানে মানে ক্লাস ৭ কি ৮ হলে মোটা মুটি অনেক কিছু সর্ম্পকে তাদের ধারণা হয়ে যায় , তখন আমার বয়স টাও তাই ছিলো , বেশী দিন আগের কথা নয়, আমার গৃহ শিক্ষক আমাদের টেলিভিশন এর কাছে যেতে দিতো না , তাছাড়া বাড়িতে ১ টা কি ২ টা টেলিভিশন ছোটেদের দেখতে দেওয়া হতো না , টেলিভিশন তারা খারাপ হয়ে যাবে তাই ।যখন ক্লাস ৭ এ তখন আমার প্রথম টেলিভিশন এর সাথে পরিচয় , অর্থাৎ ঘটনাটা তখনকারই , একবার বড় ভাইয়ের সাথে ঢাকায় আসার পর একটি বড় বিল্ডিং দেখতে গিয়ে রিকশা থেকে পড়ে যাওয়ার উপায় প্রায় , ভাইয়া না ধরলে সে দিন হয়তো মাথা পাটতো , আর না হয় সে দিন ই কোন গাড়ি এসে মেরে দিতো আর আমি সেই উপরে । আর এখন সেই আমি কিনা স্বপ্ন দেখি আমারও এমন একটা সুন্দর বাড়ি হবে । আরেকটি ঘটনা ছিলো আমার মনে রাখার মতো ,তাও সেই টেলিভিশন কে কেন্দ্র করে , যেহেতু এর সর্ম্পকে ভালো কিছু যানতাম না ।একদিন একটা বাংলা ছবি দেখছিলাম সবার মতো আমিও নায়কের সাপোর্ট করছি , নায়ক যখন ভিলেন কে মারে তখন হাত তালি দেই আরনায়ক ভিলেন এর হাতে মার খেলে মেঝাজ তো পুরাই গরম , আমি টেলিভিশন এর পিছনে চলে গেলঅম একটা লাঠি হাতে ভিলেন কে মারার জন্য ,আমার ধঅরণা ছিলো এইটুকু একটা যন্ত্রে তো আর মানুষ ঢুকতে পারবে না , সুতরাং তারা মনে হয় নিশ্চই পিছনে আছে । পরে সেই বিষয়টা সর্ম্পকে পুরোপুরি জানতে পারলাম , সেই সময় নায়ক মানে মানুষ নয় , তারা মোমের পুতুল টাইপের কিছু ছিলো , আর বিল্ডিং ? গ্রামে বড় জোর রঙ্গিন টিন দিয়ে বানানো ঘর ছিলো । কোথাও যদি একটি বিল্ডিং এর দেখা মিলতো , দোতলা তো দুরের কথা ছাদ ই নেই, তা ছিলো টিনের ছাউনি ।মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় , কথাটি অনেকেই মানে আবার অনেকেই মানে না , তাতে কি , আমি মানি , আর এইটুকু ও বিশ্বাস করি যে যার স্বপ্ন যত বড় তার চেষ্টা এবং সাহস ও তত বড় ।সত্যিই ঘটনা গুলো মনে হলে এখনও খুব হাসি পায় , আর এখণ সেই আমি বাংলাদেশের প্রায় অনেক সিনেমা কলাকুশলী সাথে বসে কথা বলা কিছুক্ষল গল্প করার সুযোগ হয়েছে , ছোট বেলা থেকেই লেখা লেখি আর মিডিয়ার প্রতি একটা লোভ ছিলো , মিডিয়া বলতে নায়ক না , একজন চিত্রনাট্টকার হওয়ার যা ওই লেখালেখির ভিতরেই পড়ে , কারণ এইটা ছাড়া আর অন্য কোন স্বপ্ন দেখতে গেলেই সব কিছু ভড়কে যায় । তাই অন্য কোন স্বপ্ন দেখি না । তবে হ্যা ওই যে বললাম বাড়ি করবো , সেই কিশোর বয়সে টিভি সেটে দেখা সুন্দর বাড়ি গুলোর ন্যায় , তাই পাশাপাশি একটা ব্যবসা করার চিন্তা করছি , সেই মানের ব্যবসা না , যে ব্যবসা করলে আমি মোটামুটি কিছুটা সুযোগ পাই আমার স্বপ্ন গুলো নিয়ে ভাববার । আর তাই ই-কমার্স কেই বেচে নিলাম , কিন্তু মাত্র তো বাংলাদেশে এর পথ যাত্রা শূরু তাই একটু হোচট খেতে হচ্ছে , আরো খেতে হতো যদি ই-ক্যাব না থাকতো , ই-ক্যাব এর কল্যাণে আর তার সদস্যগুলোর সহযোগীতায় কিছুটা পথ হাটতে পেরেছি , আরো হাটা সম্ভব । একা একা একটু সমস্যা হয়ে যাচেছ , তারপরও কিছু করার নেই, কারণ আমি জানি কাউকে পাওয়া যাবে না , কারণ আমার আগের কেউ ও পায় নাই । আজকে এই পর্যন্ত যে টুকু পথই হেটেছি তাতে অনেকের হাসির পাত্র হয়েছি, কেউ ব্যাঙ্গ করছে , তাতে তেমন কিছুই হচ্ছে না , তবে সব চেয়ে খারাপ লাগে ওই সময় যখন কাছের কেউ রাগ করে , কেন করে কি জন্য করে তা জানি না , কিন্তু করে । হয়তো বা কোন ভুল করেছি তাই ? কি আর করার , রবীন্দ্রনাথ বলেছেনা ? যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলোরে , আমি ঠিক তার কথা মতোই হাটছি । পরিবার আত্মীয়-স্বজন কারোর সার্পোট ই নেই তার পরেও হাটছি , শুধু ওই ছোট বিশ্বাস টুকু নিয়ে যে ” আমি পারবো ” , এই ছোট বিশ্বাস টুকু কেন জানি ভিতরে এক প্রকার অন্য রকম শক্তির যোগান দেয় , তাও নিজের কাছেই , কল্পনা মনে হয় । জীবনের এই পর্যন্ত কখনও উত্থান কখনও পতন ঘটেছে , কখনও মনে হয়েছে এইতো আর কয়টা দিন মাত্র তারপর সব ঠিক , কিন্তু দেখা গেলো সে এতো কাছে নয় , আরো চলতে হবে , তার উপর আবার পরিপাশ্বিক বিদ্রুপ মন্তব্য সার্পোট না পেয়ে একা পথ চলা, ওই যে বললাম , সেই শক্তি আমি পারবো .. আর তার বলেই এখনও চলছিঅআজো স্বপ্ন দেখি , আজো বিশ্বাস করি আমি পারবো , তেমন তাড়া নেই হোক না একটু ধীরেই , সমস্যা কি , কিন্তু হবে …ইন-শা-আল্লাহ।অপেক্ষার ফল মিষ্টি হয়।