নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : বন্দর উপজেলার ত্রিবেনী এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত অর্ধ গলিত লাশটি বেদে তানিয়া আক্তারের(১৮) বলে সনাক্ত করেছে তার মা শাহনাজ। আর এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারই স্বামী আকাশকে ওরফে আব্বাস। এ ঘটনায় আকাশকে আটক করেছে পুলিশ। পরকীয়ার জেরেই তানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে শিকার করেছে আকাশ।
পহেলা বৈশাখে(১৪ এপ্রিল) ঘুরতে নিয়ে গিয়ে তানিয়াকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে আকাশ। এদিন বিকেলে আটকের পর হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি। এদিকে শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) তানিয়ার লাশ নবীগঞ্জ কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
তানিয়ার মা শাহনাজ জানিয়েছেন, তারা বেদে সম্প্রদায়। পরিবার-পরিজন নিয়ে বন্দরের কদমরসুল দরগাহ’র পাশে মিঠু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তার মেয়ে তানিয়া শহরের একটি গার্মেন্টেসে কাজ করার সময় পরিচয় হয় ভোলা জেলার চরফেশন থানার ওমরাবাহু গ্রামের মহিউদ্দিন মিয়ার ছেলে আকাশ ওরফে আব্বাসের সাথে। পরিচয়ের পরে প্রেম করে নিজেরাই বিয়ে করে তানিয়া ও আকাশ।
পরে তানিয়াকে নিয়ে আকাশ বন্দরের একরাপুর এলাকার আলম মিয়ার বাড়িতে ভাড়া ওঠে। পহেলা বৈশাখ থেকে তানিয়া নিখোঁজ হয়। তানিয়ার স্বামী আকাশ তাদের এসে বলে তানিয়া অন্য একজনের সঙ্গে চলে গেছে।
তানিয়ার বাবা আলম সওদাগর জানিয়েছেন, তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগিবাড়ি থানার আবদুল্লাহপুরে। তারা প্রথমে নৌকায় থাকতেন পরে তারা কদম রসুল এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। কিন্তু তার মেয়ে তানিয়া প্রেম করে নিজ ইচ্ছেয় বিয়ে করার পর জানতে পারে আকাশের স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। এনিয়ে তানিয়ার সাথে প্রায় ঝগড়া হতো। এই সূত্র ধরেই আকাশ তানিয়াকে খুন করেছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবুল কালাম জানিয়েছেন, নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় তানিয়ার বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় আটক তানিয়ার স্বামী আকাশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। পরকীয়া প্রেমের জের ধরে তানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে আকাশ।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল(বৃহস্পতিবার) দুপুরে তানিয়ার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের ৮ ঘন্টা পর তানিয়ার লাশ সনাক্ত করে তার মা শাহনাজ।