বৃহস্পতিবার , ২৭ এপ্রিল ২০১৭ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

খাতা মূল্যায়নে মডেল উত্তরপত্র এসএসসির ১২টি বই পরিমার্জন করা হচ্ছে

প্রতিবেদক
alltimeBDnews24
এপ্রিল ২৭, ২০১৭ ১১:১৮ অপরাহ্ণ

এসএসসির ১২টি বিষয়ের পাঠ্যবই পরিমার্জন করে সহজ ও ভুলত্রুটি সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এছাড়া এবার মডেল উত্তরপত্রের ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষার খাতা মূ্ল্যায়ন করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘পাঠ্যবই নিয়ে আমাদের বিরাট অভিযোগ। পাঠ্যবইয়ের মান সম্পর্কে, শঙ্কা সম্পর্কে, বোঝা সম্পর্কে আমাদের একটি কমিটি কাজ করছে। আমার ১২টি বইকে চিহ্নিত করেছি, যে বইগুলোর উপর কাজ হচ্ছে। যে বইগুলোতে আরও সহজ ভাষায় সুন্দর উপস্থাপনা করা হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা পড়ে সহজে বুঝতে পারে।’

‘বিষয়গুলো হচ্ছে-বাংলা সাহিত্য, ইংলিশ ফর টুডে, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, বাংলাদেশ ও বিশ্ব সভ্যতা, গণিত, উচ্চতর গণিত, বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, রাসায়ন, জীববিজ্ঞান, অর্থনীতি ও হিসাববিজ্ঞান।’

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘যারা কাজ করছেন তারা বলেছেন এ বিষয়গুলো অনেক সহজ করা যাবে, অনেক কমিয়ে আনা যাবে।’

আগামী শিক্ষাবর্ষ (২০১৮) থেকেই শিক্ষার্থীরা পরিমার্জিত বই পাবে বলেও জানান মন্ত্রী।

সভায় অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. মঞ্জুর আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আক্তারুজ্জামান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ, শিক্ষাবিদ ও লেখক শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তসলিমা বেগমসহ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নম্বর দেওয়ার ব্যাপারে হয়তো অনেকে মনে করছেন, আমরা এখান থেকে গাইড করছি যে, কীভাবে নম্বর দেব। নম্বরটা দেওয়ার ব্যাপারে আমরা একটা গবেষণা করেছি। দেখা যাচ্ছে, দুইজন নম্বর দিচ্ছেন, পার্থক্য অনেক হয়ে যাচ্ছে। সেই হিসেবে আমরা কাছাকাছি চলে আসছি। সেখানে আমরা একটা গাইডলাইন তৈরি করেছি।’

তিনি বলেন, ‘খাতা নেওয়ার সময় একটা মডেল উত্তর থাকবে, গাইড লাইনও পাবেন যে, এ রকম লিখলে এ রকম নম্বর পাবেন। নম্বর বেশি দেন, কম দেন, এ রকম গাইড লাইন দেওয়া হচ্ছে না। সঠিকভাবে যেন দেন, সেটা বলা হচ্ছে।’

উত্তরপত্র মূল্যায়নের নতুন ব্যবস্থা এবার এসএসসি পরীক্ষা থেকে অনুসরণ করা হচ্ছে জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমেদ বলেন, ‘এ বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, একই খাতা ২০ জন শিক্ষক দেখেছেন। এরপর দেখা হয়েছে এরমধ্যে ভেরিয়েশন কি আছে। তারপর এর ভিত্তিতে একটি মার্কিং স্কিম তৈরি করা হয়েছে। মডেল আনসারও শিক্ষকরা আলাপ-আলোচনা করে তৈরি করে দিয়েছেন।’

পরীক্ষা নেওয়ার সময় কমিয়ে আনার বিষয়ে কাজ হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এসএসসিতে স্বাস্থ্যশিক্ষাসহ তিনটি বিষয় আমরা মূল্যায়ন করছি কিন্তু পাবলিক পরীক্ষা অন্য বিষয়গুলোর মতো হচ্ছে না। ধারাবাহিক মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে এ তিনটি বিষয়ের ফলাফল চলে আসবে। তাহলে পরীক্ষায় আমাদের ৩ দিন বা ৫ দিন বা ৭ দিন আমাদের কমে আসবে।’

‘বিজ্ঞানের ছবিগুলো চার কালারের না হলে শিক্ষার্থীর কাছে স্পষ্ট ফুটে উঠবে না। আমরা এখন থেকে এটা চার কালারের করার চেষ্টা করব। এমনকি অর্থনীতির বইয়েও আমরা এমন করার চেষ্টা করব।’

প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন শেষ ধাপে গিয়ে কিছু অসৎ শিক্ষকের কারণে প্রশ্নপত্র আউট হয়ে যাচ্ছে কিংবা তারা আউট করছেন। আমরা সতর্ক হব এবং আরও চেষ্টা করব। ইতোমধ্যে অনেককে আমার গ্রেফতার করেছি তাদের মধ্যে হেডমাস্টার আছেন, শিক্ষক আছেন। এটা আরও জোরদার করা হবে। কেউ ছাড়া পাবেন না। ক্লাসরুমে এসে উত্তর বলে দিচ্ছেন এ ধরনের শিক্ষক আমরা রাখব না। তাদের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’

নাহিদ আরো বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হচ্ছে, অভিভাবকরাও সন্তানের জন্য প্রশ্ন খোঁজেন। তার সন্তানকে কুশিক্ষা দিচ্ছেন, তার নৈতিকতাকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নতুন শিক্ষা আইনের মধ্যে আমরা নিয়ে আসব- গাইড বই থাকবে না, কোচিং বাণিজ্য চলবে না। এই ধরনের বিষয়ে যারা সম্পৃক্ত হবে তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। এই ব্যবস্থাগুলো আমার আইন করে নিয়ে আসছি।’

একটি সংগঠনের দাবির মুখে এবার পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরিমার্জনের ক্ষেত্রে এটা বিবেচনায় নেওয়া হবে কিনা- জানতে চাইলে মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘হেফাজতীকরণের বিষয়ে জানতে চাইছেন তাই তো? আমি পরিস্কার করে বলি, আমাদের বাংলা সাহিত্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীকে। আমরা আশা করতে পারি যে ঘটনাটা ঘটেছে শ্যামলী নাসরিন সেখান থেকে আমাদের উদ্ধার করবেন।’

‘তিনি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের যে ভ্যালুজ আছে সেগুলোকে রক্ষা করে তিনি বইটা পরিমার্জন করবেন’ বলেন জাফর ইকবাল।

অর্থনীতিবিদ এমএম আকাশ বলেন, ‘আমি অর্থনীতির বইটা সংশোধন করছি। সেখানে ওই ধরনের কোন ব্যাপার নেই, তারপরও আমরা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করছি তা হল, কোন ভুল থাকলে আমরা তা সংশোধন করব। জটিল কিছু থাকলে সহজ করব। সংবিধানের বিরুদ্ধে কোন কথা থাকলে সেটা বিবেচনায় নেব।’

সভায় কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীরসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

(Visited ১২ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি