অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী নেতা শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ৫৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৬২ সালের এই দিনে এ মহান নেতার মৃত্যু হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি পালনে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আবুল কাশেম ফজলুল হক ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশালের বাকেরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৩৭-১৯৪৩), পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৫৪), পূর্ব বাংলার গভর্নরের (১৯৫৬-১৯৫৮) পদসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ছিলেন অসাধারণ মেধাবী ও বাগ্মী এবং একাধারে বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় অনর্গল বক্তৃতা করতে পারতেন। প্রায় অর্ধ-শতাব্দীর অধিককাল তিনি গণমানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। সাহসী নেতৃত্ব, উদার ও পরোপকারী স্বভাবের জন্য জনগণ তাকে ‘শেরে বাংলা’ বা ‘বাংলার বাঘ’ খেতাবে ভূষিত করেন।
দিবসটি পালনে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, শেরে বাংলা জাতীয় স্মৃতি সংসদ, শের-ই-বাংলা পরিষদ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক আন্দোলন, ঢাকাস্থ বরিশাল বিভাগীয় ছাত্র পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন। সকাল সাড়ে ৭টায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মরহুমের মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ ও তার পবিত্র আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। মরহুমের মাজার চত্বরে শেরে বাংলা জাতীয় স্মৃতি সংসদ সকাল ৮টায় ও জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সকাল ১০টায় আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এছাড়া বরিশাল বিভাগ সমিতি বেলা সাড়ে ৩টায় শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।