চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ বুধবার (২৬ এপ্রিল) রাতের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে পুনরায় শুরু হবে এই অভিযান।
বুধবার রাত ৯টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশের বিশেষায়িত টিম সোয়াটের কর্মকর্তা উপ-পুলিশ কমিশনার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার জানিয়েছেন, রাতের মতো অপারেশন স্থগিত করা হয়েছে। সকালে (বৃহস্পতিবার) আবার চলবে।
তিনি আরো জানান, ওই বাড়ির ভেতর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের লক্ষ্য করে একটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে এবং ৪/৫টি বিকট বিস্ফোরণও ঘটানো হয়েছে। বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেওয়ায় বাড়িটির ভেতরের অবস্থা কী তা জানা যাচ্ছে না। জেনারেটর দিয়ে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এখনো সেখানে অবস্থান নিয়ে আছেন।
জঙ্গিদের অবস্থানের খবর পেয়ে বুধবার ভোরে উপজেলার শিবনগর-ত্রিমোহনী গ্রামে সাইদুর রহমান ওরফে জেন্টু বিশ্বাসের মালিকানাধীন ওই বাড়ি ঘিরে ফেলেন স্থানীয় পুলিশ ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা। পরে বিকেলে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আসার পর উপজেলার শিবনগর-ত্রিমোহনী গ্রামে আমবাগান ঘেরা ওই বাড়ির কাছে পৌঁছান সোয়াট সদস্যরা। সন্ধ্যায় তারা ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ শুরু করেন।
গোমস্তাপুর সার্কেলের এএসপি মাইনুল ইসলাম জানিয়েছেন, একতলা ওই বাড়িতে রফিকুল আলম আবু (৩০) নামের এক ব্যক্তি এবং তার স্ত্রী-সন্তানসহ চারজন থাকে বলে তাদের কাছে প্রাথমিক তথ্য রয়েছে। সকাল থেকে কয়েক দফা মাইকে তাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়। আশপাশের চারটি বাড়ির লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয় পুলিশ সদস্যরা।
জননিরাপত্তার স্বার্থে শিবনগর ও আশপাশের এলাকায় সকালেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয় জানিয়ে শিবগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে সব ধরনের জমায়েত ও চলাচলে কড়াকড়ি থাকবে।
জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়িটিতে বুধবার সন্ধ্যার দিকে অভিযান শুরু করে সোয়াট সদস্যরা। জেলার পুলিশ সুপার মুজাহিদুল ইসলাম জানান, সোয়াটের এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ঈগল হান্ট।
অভিযান শুরু পর সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে ওই বাড়ির দিক থেকে টানা গুলির শব্দ পান শ পাঁচেক গজ দূরে অবস্থানরত সাংবাদিকরা। পরে ৪টি বিকট বিস্ফোরণেরও শব্দ পাওয়া যায়। অভিযান শুরুর ২ ঘণ্টা পর ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ বুধবার রাতের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়।