চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে এক ব্যক্তিকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর বড় অঙ্কের ঘুষ দাবির অভিযোগে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক পরিদর্শকসহ (ডিবি ইন্সপেক্টর) ৮ ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম মঈন উদ্দিন, তিনি চট্টগ্রাম আদালত এলাকার আইনজীবী ভবনে কর্মরত। ঘুষ দাবির পাশাপাশি ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে তাকে নির্যাতনেরও অভিযোগ করেছেন ভিকটিম।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ভিকটিম মঈন উদ্দিন নিজে বাদি হয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন-২ আদালতের বিচারক আবু সালেহ মো. নোমানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
বাদির পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন অ্যাডভোকেট আমিন আহমেদ।তিনিমামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,‘আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসপি পদ মর্যদার একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন-সিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক কেশব চক্রবর্তি, এসআই মো. সেকান্দার আলী, এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন, এএসআই মো. আজহারুল ইসলাম, এএসআই আব্দুল ওয়াদূদ, কনেস্টেবল আরমান হোসেন, মো. খোরশেদ আলম ও মো. উকিল আহমেদ।
বাদি মঈন উদ্দিন জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর আসামিরা তার কর্মস্থল কোর্ট বিল্ডিংস্থ আইনজীবী ভবন-১ এর ৬১ নং কম্পিউটার কম্পোজ দোকানে এসে নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতির অবতারণা করে আমাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে সিএমপির ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখে।
সেখানে তারা আমাকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে আমার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি তা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দিবে বলেই মারধর এবং কিল ঘুষি মারতে থাকে। তারা আমার মোবাইল ফোন পকেটে থাকা মানি ব্যাগ থেকে ৩ হাজার ৯০ টাকা নিয়ে নেয়। পরদিন আমাকে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে চালান করে দেয়।
বাদি তার অভিযোগে আরো জানিয়েছেন, তার গ্রামের বাড়ি রাউজানের ১৪নং বাগোয়ান ইউনিয়নের গশ্চি ৩নং ওয়ার্ডে। সেখানে পারিবারিকভাবে কিছু বিষয় সম্পত্তি নিয়ে নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে পূর্ব থেকে বিরোধ এবং মামলা পাল্টা মামলা দায়ের করা হয়। মূলত তাদের যোগসাজসে আমাকে ফাঁসানোর জন্য ডিবি পুলিশকে দিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।
ডিবির মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগের পর চলতি বছরের ১৬ মার্চ বাদী জামিন লাভ করে কারাগার থেকে বের হন এবং ন্যায় বিচার পেতে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন বলে আদালেতকে জানান মঈন উদ্দিন।