কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রবিবার ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। মাত্র তিনদিন আগেই সেখানে এক বন্দুকধারীর হামলার ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্য মারা যাবার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
বৃহস্পতিবারের সেই হামলার পর ফ্রান্সজুড়ে ৫০,০০০ পুলিশ এবং ৭,০০০ সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়। দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবার জন্য নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১১ জন প্রার্থী লড়াই করছেন।
পশ্চিমা বিশ্বে সম্প্রতি অন্যান্য বেশ কিছু নির্বাচনের মত এটিও আলোচিত হচ্ছে, কারণ এখানেও উদারপন্থী নীতি এবং মূলধারার রাজনীতির প্রতি একধরনের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ প্রার্থীদের মধ্যে উগ্র-বামপন্থী থেকে উগ্র-ডানপন্থী মতবাদের প্রার্থী রয়েছেন।
প্রথম ধাপের ফলাফলে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দুজন প্রার্থীকে নিয়ে ১৫ দিন পর আবারো ভোটাভুটি হবে।
১১ জন প্রার্থীর মধ্যে চারজনের প্রেসিডেন্ট হবার সম্ভাবনা আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে : রক্ষণশীল প্রার্থী ফ্রাসোয়া ফিলন, উগ্র-ডানপন্থী মারি লে পেন, উদার মধ্যপন্থী ইমানুয়েল ম্যাক্রন এবং উগ্র-বামপন্থী জঁ-লুক মেলেশন।
প্রার্থীরা ফ্রান্সে অনেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। ইউরোপ, অভিবাসন এবং ফরাসী পরিচয় নিয়ে তাদের প্রত্যেকের চিন্তা-ভাবনা নাটকীয়ভাবে আলাদা।
তবে ইস্যু হিসেবে সাধারণ ফরাসীদের কাছে অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থান বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে।