উভয়দেশের মধ্যে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টিতে বিনিয়োগ চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ওমান।
এজন্য এ সংক্রান্ত একটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সচিবালয়ে সোমবার (১৭ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ও ওমান সরকারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক পুঁজি বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ চুক্তি হবে। অনেকগুলো দেশের সঙ্গে আমাদের বিনিয়োগ চুক্তি হয়েছে, এটাও সে রকম।’
তিনি বলেন, ‘এটা যদি হয় আমরা আশা করছি উভয়দেশের মধ্যে শিল্প-উদ্যোক্তাদের শিল্প বিনিয়োগের যে সুযোগ তৈরি হবে, বিনিয়োগের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ উদ্দেশ্যেই এই চুক্তিটি হবে।’
মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর দুই পক্ষ এখন চুক্তিটি স্বাক্ষর করবে বলেও জানান তিনি।
ভূটানের সঙ্গে হচ্ছে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান চুক্তি
ভূটানের সঙ্গে সাংস্কৃতিক সহযোগিতার জন্য একটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুব শিগগিরই ভূটান সফর করবেন ওখানে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে। এজন্যই এ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে। এ চুক্তির আওতায় দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান হবে। এটাও অন্যান্য চুক্তির মতোই গতানুগতিক। এটা ৫ বছরের জন্য বলবৎ থাকবে। তবে দুইপক্ষ চাইলে এটা পরবর্তী ৫ বছরের সময়ের জন্য নবায়ন করতে পারবে।’
প্রধানমন্ত্রীর ভূটান সফর কি এ মাসেই- এ বিষয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি হবে।’
ভারতের সঙ্গে ৩৫ দলিল ১১ চুক্তি ২৪ এমওইউ স্বাক্ষর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৭ থেকে ১০ এপ্রিল ভারত সফর করেছেন। এ সফর সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর বর্ণিল ছিল জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এ সফরে ৩৫টি দলিল, ১১টি চুক্তি ও ২৪টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত ও বিনিময় হয়। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি ভবনে আতিথিয়তা গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি ভবনে অবস্থান করারে সুযোগ পৃথিবীর স্বল্প সংখ্যক বিদেশি প্রধান পেয়ে থাকেন।’
‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ২৫ মার্চ কালরাতের গণহত্যার বিষয়টি উল্লেখ করে গণহত্যা দিবস বাংলাদেশে পালনের যে প্রস্তাব জাতীয় সংসদ গ্রহণ করেছে সে বিষয়ে নরেন্দ্র মোদী সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।’
শফিউল আলম বলেন, ‘ভারত সরকার সাড়ে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নমনীয় ঋণের ঘোষণা দিয়েছে যার মাধ্যমে ১৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সামরিকখাতে ভারতীয় সরকার ৫০০ মিলিয়ন ডলার নমনীয় ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’