মোঃ আসাদুজ্জামান.
টেক রির্পোটার.
নিয়মিতই সময় কাটাতে হয় যন্ত্রাংশের সঙ্গে। যন্ত্রাংশের করা শব্দ আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে দিচ্ছে অনাবিল সুখ আনন্দ। সঙ্গী হিসেবে থাকছে প্রতিনিয়ত। কম্পিউটার, মোবাইল বা অন্যান্য ডিভাইসের শব্দের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে মানুষের জীবন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আজ মার্কেটিং করতে বেছে নিচ্ছে যান্ত্রিক তৈরী করা শব্দ। কারন যান্ত্রিক শব্দ মানুষকে খুব সহযেই বলতে পারে বা কোন পণ্যের সম্পর্কে খুব সুন্দরভাবে বিবরন দিতে পারে।
অনেকেই বই পড়া হিসেবে পছন্দ করছেন যন্ত্রের তৈরী অডিও বই। আর এভাবেই যান্ত্রিক শব্দের প্রেমে পড়ছি আমরা প্রতিনিয়ত। ছোট সময়ের কথাই মনে পড়ল, যখন খেলনা মোবাইলের শব্দটা খুব ভালো লাগত “হ্যালো-হ্যালো” ইন্ডাস্ট্রি ট্রেন্ড রিপোর্ট জানিয়েছে যে গুগল হোম, অ্যামাজন ইকোর মতো কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে অটোম্যাটিক পদ্ধতিগুলোর ক্ষেত্রে যান্ত্রিক কণ্ঠস্বরের প্রেমে পড়ছে মানুষ। প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বা যারা নিয়মিত থার্ড জেনারেশন কণ্ঠস্বরের টেকনোলজি ব্যবহার করছে তাদের মধ্যে ৩৭ শতাংশ তাদের যন্ত্রের কণ্ঠস্বরকে এতটাই ভালোবাসেন যে তাদের মনে সেই যন্ত্রকে মানুষের মতো করে পেতে ইচ্ছে করে। এর চেয়েও অবাক করা বিষয় এই যে, ‘এই নিয়মিত কণ্ঠস্বর প্রযুক্তির ইউজারদের অর্ধেকের আবার যান্ত্রিক কণ্ঠস্বরদের প্রতি যৌনখেয়ালও জাগে।’
ওয়াল্টার থমসন ইনোভেশন গ্রুপ অ্যান্ড মাইন্ডশেয়ারের একটি রিপোর্ট , ‘এই সকল কণ্ঠস্বর ইউজার বেশির ভাগই যুবক, পুরুষ এবং ধনী।” সম্প্রতি গুগলের একটি পণ্য বাজারে আসে তা হল গুগল এ্যাসিস্ট্যান্ড। যার মাধ্যমে মানুষ যান্ত্রিক শব্দের সাথে কথা বলছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা অনলাইনে ভেরিফিকেশনের জন্য গ্রহন করতে চাই ভয়েস ভেরিফিকেশন কোড। যা যান্ত্রিক তৈরী ভেরিফিকেশন কোড। আর তাই এমন দিনও হয়ত বেশি দুরে নয়, যেদিন মানুষ সবচেয়ে বেশি যার সাথে কথা বলতে বা শুনতে চাইবে, তা হবে যান্ত্রিক তৈরী করা শব্দ।