সিলেটের আলোচিত শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া ৪ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কামরুল ইসলাম, ময়না চৌকিদার, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল ও জাকির হোসেন পাভেল। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত নূর মিয়া শুধু ঘটনার ভিডিও করায় তার শাস্তি কমিয়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। এছাড়া সাত বছর করে কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে- কামরুলের তিন ভাই মুহিত আলম, আলী হায়দার ও শামীম আহমদের। এক বছর করে দণ্ড বহাল রয়েছে দুলাল আহমদ ও আয়াজের।
এই মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁশলি ডেপুটি এটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির। অপরদিকে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এসএম আবুল হোসেন, বেলায়েত হোসেন ও শহীদ উদ্দিন চৌধুরী।
এই মামলায় চলতি বছর ৩০ জানুয়ারি আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি শুরু হয়।
২০১৫ সালের ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এই ঘটনায় হওয়া মামলায় দেড় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে একই বছর ১৬ আগস্ট ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা সুরঞ্জিত তালুকদার।
২০১৫ সালের ১ অক্টোবর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৬ জন সাক্ষ্য দেন আদালতে। বিচার শেষে একই বছর ৮ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে ১৩ আসামির মধ্যে ফিরোজ মিয়া, আজমত উল্লাহ ও রুহুল আমিন নামে তিন আসামি খালাস পান।
কামরুলের আরেক ভাই শামীম আহমেদ ও জাকির হোসেন পাভেল আহমেদ পলাতক রয়েছেন।