বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, ‘জঙ্গিবাদে মাদ্রাসা ছাত্রের সংখ্যা ৩০ শতাংশ, বাকি ৭০ শতাংশ কিভাবে এই কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে তার গবেষণা দরকার। বিদেশে থাকা, বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়া ছাত্ররা কেন জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছে সে বিষয়ও বিবেচনায় আনতে হবে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘নারী জঙ্গিরা খুব বেশি পরিমাণে মোটিভেটেড ছিল। পরে আলেম-ওলামা এনে তাদের বোঝানো হয়েছে। এক পর্যায়ে তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তারা জানিয়েছেন, স্বামীদের কথামতোই এ পথে আসতে বাধ্য হয়েছেন তারা। কিন্তু তাদের জেলখানায় পাঠানোর পর তারা রিমোটিভেট হয়ে যাচ্ছেন। অতএব জেলখানায় তাদের ডিমোটিভেশনের ব্যবস্থা আছে কিনা সেটাও আমাদের বিবেচনা করতে হবে।’
রাজধানীর গুলশান-২ এ লেকশোর হোটেলে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ‘জঙ্গিবাদীদের অপব্যাখ্যা এবং পবিত্র কুরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াত ও হাদীসের সঠিক ব্যাখ্যা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আইজিপি এসব কথা বলেছেন।
আইজিপি আরো বলেছেন, ‘জঙ্গিবাদ কোনো একটি দেশের সমস্যা নয়, এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। আমাদের মতো বিশ্বের অনেক দেশেই হোমগ্রোন জঙ্গি রয়েছে। তারা এতটাই হাইলি মোটিভেটেড যে তাদের ধারণা তারা মরে গেলে সরাসরি জান্নাতে যাবে। জঙ্গিরা যে ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দিচ্ছে, এর কাউন্টার দেওয়ার জন্যই এই বইয়ের প্রকাশ। কারণ, শুধু পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় সম্ভব নয়; জঙ্গিবাদ দমন করতে হলে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি।’