গাড়ি দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। আর সেই খবর ব্রেকিং নিউজ হিসাবে দেখাতে হল স্ত্রীকে, যিনি ছত্তীসগঢ়ের এক নিউজ চ্যানেলের অ্যাঙ্কর।
সুপ্রীত কউর। ছত্তীসগঢ়ের একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের অ্যাঙ্কর হিসাবে কাজ করেন অনেক দিন। শনিবার সকালের নিউজ বুলেটিন পড়ার দায়িত্ব ছিল তারই। নিউজ বুলেটিন দেখানের সময় এক সাংবাদিকের কাছে থেকে ফোন আসে। মহাসমুন্দ জেলার পিঠারাতে একটি গাড়ি দুর্ঘটনা নিয়ে জানাতেই তিনি ফোন করেন। সঙ্গে সঙ্গে সেই খবরটাকে ব্রেকিং নিউজ হিসাবে দেখাতে হয় সুপ্রীতকে।
যে সাংবাদিক খবর দেওয়ার জন্য ফোন করেন, তিনি জানান একটি রেনো ডাস্টার গাড়ি দুর্ঘটনায় ৫ জনের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই খবরটাই সুপ্রীতের কাছে যথেষ্ট ছিল। তিনি বুঝতে পারেন ওই রাস্তা দিয়েই তার স্বামীর যাওয়ার কথা ছিল চার সঙ্গীকে নিয়ে। এবং ঘটনাচক্রে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটাও ছিল রেনো ডাস্টার। কিন্তু কাজ বড়। তাইতো স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরেও সুপ্রীত দায়িত্ব ছেডে় চলে যাননি। দায়িত্ব পালন করে নিউজরুম ছাড়েন। তার পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন। আত্মীয়স্বজনদের খবর দেন।
তারই এক সহকর্মী বলেন, ‘সত্যিই ও একজন সাহসী মহিলা। এক জন অ্যাঙ্কর হিসাবে আমরা গর্বিত। স্বামীর মৃত্যুর খবর শোনার পরেও যে ভাবে ওই সময় নিজের দায়িত্বটা পালন করল, আমরা সবাই হতবাক।’
গত ৯ বছর ধরে ছত্তীসগঢ়ের ওই সংবাদমাধ্যমে কাজ করছেন সুপ্রীত। তার বাড়ি ভিলাইয়ে। কর্মসূত্রে রাইপুরে থাকতেন। গত বছরেই বিয়ে হয়েছিল হর্ষদ কাওয়াড়ের সঙ্গে।