বিড়াল হলেও সে-ই এখন আলোচিত চরিত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে। ব্রিটেনের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে তিন পাবিশিষ্ট একটি বিড়ালকেই ব্যবহার করা হচ্ছে পরীক্ষার সেশন চলার সময় শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ দূর করার কাজে।
পাঁচ বছর বয়সী জ্যাসপার মার্শাল লাইব্রেরি অব ইকনোমিক্স এর সহকারী লাইব্রেরিয়ানের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তার মালিক একদিন তাকে কর্মক্ষেত্রে নিয়ে আসার পর ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সে। সম্প্রতি তাকে ঘিরে হয় বিশেষ আয়োজন যার নাম দেয়া হয় ‘জ্যাসপারের সাথে চায়ের আড্ডা”।
এখন সে ওই গ্রন্থাগারের “দাফতরিক মাসকট” হওয়ার পর এ ধরনের আরও আয়োজনের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় সে তার পেছনের দিকের একটি পা হারায় এবং তখন তার মালিক তাকে ত্যাগ করে।
এরপর পশু-প্রাণীর একটি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে তাকে গ্রহণ করেন এখানকার সহকারী লাইব্রেরিয়ান সিমন ফ্রস্ট।
তিনি জানান, জ্যাসপার তার তিন পা নিয়েই সব জায়গায় দ্রুতগতিতে চলে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঘোরাফেরা করে আর পত্রিকার ওপর ঘুমিয়ে তার সময় কেটে যায়।
“তার একটি পা না থাকায় সে বাঘের মত লাফিয়ে চলে। তবে ধীরে চলার সময় সে কিছুটা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। তা সে দ্রুতবেগে চলাফেরা করে” বলছিলেন ফ্রস্ট। সে গাছেও উঠতে পছন্দ করে কিন্তু নামতে পারে না।
শিগগিরই “জ্যাসপারের সাথে সাক্ষাত” শিরোনামে আরেকটি সেশন আয়োজন করা হবে শিক্ষার্থীদের জন্য।
লাইব্রেরিয়ান ক্লেয়ার ট্রওয়েল জানান, শিক্ষার্থীরা তার কাছে এসে এবং তাকে আদর করে নিজেরা পরীক্ষা সংক্রান্ত চাপমুক্ত হচ্ছেন বলে জানাচ্ছে। তাদের অনেকেই নিজেদের পোষা বিড়াল বা অন্য প্রাণীকে হারিয়েছেন। জ্যাসপারের নামে হ্যাশট্যাগ পোস্ট দেয়া হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।