মঙ্গলবার , ১১ এপ্রিল ২০১৭ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

গির্জায় বিস্ফোরণ মিসরে জরুরি অবস্থা জারি

প্রতিবেদক
alltimeBDnews24
এপ্রিল ১১, ২০১৭ ৩:০৫ পূর্বাহ্ণ

তানতা ও আলেকজান্দ্রিয়ায় গির্জা দুটিতে বিস্ফোরণের পর প্রথমে সারা দেশে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোর সুরক্ষার জন্য সেনা মোতায়েনের আদেশ দেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি।

বিবিসির খবরে বলা হয়, এরপর আসে তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা। তবে প্রেসিডেন্টের এ পদক্ষেপের জন্য পার্লামেন্টে অনুমোদন প্রয়োজন হবে। যদিও পার্লামেন্টে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা তার রয়েছে।

এদিকে আইএস বলছে, সংখ্যালঘু এই খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের ‘পাম সানডে’র অনুষ্ঠানে হামলাগুলো চালিয়েছে তাদের যোদ্ধারা। সম্প্রতি তারা মিশরে বেশ কয়েকটি হামলা করেছে এবং আরও হামলার হুমকি দিয়েছে।

রবিবার প্রথম বিস্ফোরণটি হয়, উত্তরাঞ্চলীয় তানতা শহরে সেন্ট জর্জ’স কপটিক চার্চে এবং তাতে অন্তত ২৭ জন নিহত হন, আহত হন সত্তর জনেরও বেশি মানুষ।

তানতায় বিস্ফোরণ স্থলের বর্ণনা দিয়ে এক ব্যক্তি বলছিলেন, এটা সকাল নয়টার দিকে। প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হচ্ছিলো এবং সবাই নিজের জায়গায় বসে ছিল। আমি সামনের দিকে ছিলাম এবং হঠাৎ করে সব অন্ধকার হয়ে গেলো। আমি সরে গেলাম আর কয়েকজন আমাকে সিটের ওপরই ঠেলে দিল। কয়েক সেকেন্ড পর দেখি আমার চারপাশে কয়েকজন পড়ে আছে। চিৎকার শুনতে পাই। লোকজন বলছে বেরিয়েেএসো।

তানতার হামলার ঘন্টাখানেক পরেই আলেকজান্দ্রিয়া শহরের আরেকটি গির্জায় দ্বিতীয় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে, আত্মঘাতী ওই বোমা হামলায় একজন পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন।

পোপ ফ্রান্সিস এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তার আগামী মাসে মিশর সফরের কথা রয়েছে। হামলার পরপরই ন্যাশনাল ডিফেন্স কাউন্সিলের সাথে বৈঠকে বসেন প্রেসিডেন্ট সিসি।

এরপর শক্ত ভাষায় দেয়া ভাষণে তিনি জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন। জরুরি অবস্থার কারণে কর্তৃপক্ষ যেকোনো ব্যক্তিকে আটক ও যেকোনো স্থান তল্লাশির সুযোগ পাবে।

মিশরের মোট জনগোষ্ঠীর দশ শতাংশ কপটিক খ্রীস্টান। গত ডিসেম্বর মাসে বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়েছিল কায়রোর কপটিক ক্যাথেড্রাল।

সাম্প্রতিক বছরে কপটিক খ্রীস্টানদের ওপর সহিংসতার ঘটনা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ২০১৩ সাল থেকে যখন সামরিক বাহিনী নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে উৎখাত করে এবং ইসলামী চরমপন্থিদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় শুরু করে।

(Visited ১ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি