জেলার গৌরনদী উপজেলার উত্তর বিজয়পুর গ্রামে শিশু হাফিজা আক্তারকে অপহরণের পর হত্যা মামলায় অপহরণকারী স্বামী ও স্ত্রীকে পৃথক ৩টি ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ আবু তাহের আসামীর অনুপস্থিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন উজিরপুর উপজেলার কালনা গ্রামের সাইদুর রহমান ও তার স্ত্রী তানজিরা রহমান তানিয়া। মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কিসমত জাহান হ্যাপি নামে এক আসামীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান মামলার নথির বরাত দিয়ে জানান, বাড়িওয়ালা হারুন হাওলাদারের ভাড়াটিয়া হায়দার আলী হাওলাদারের স্ত্রী’র সাথে অপর ভাড়াটিয়া তানিয়ার ঝগড়া হয়। এর জের ধরে ২০০৮ সালের ১১ আগস্ট হায়দার আলীর ৪ বছরের শিশু কন্যা হাফিজাকে অপহরণ করা হয়। ১৩ আগস্ট মুক্তিপণ হিসেবে ২ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। দাবিকৃত টাকা হারুনের অপর ভাড়াটিয়া কিসমত জাহান হ্যাপির কাছে রাখতে বলা হয়। এরপর ওই দিনই বাড়িওয়ালা হারুন হাওলাদারের ছাদের পানির ট্যাঙ্কির মধ্য থেকে শিশু হাফিজার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা হায়দার আলী বাদি হয়ে ওই দিনই সাইদুর রহমান ও তার স্ত্রী তানজিরা রহমান তানিয়া এবং কিসমত জাহান হ্যাপি ও তার স্বামী মাজাহারুলসহ ৪ জনকে আসামি করে গৌরনদী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামি সাইদুর ও তানিয়াকে গ্রেফতার করা হলে তারা আদালতে জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
তারা জানায়, ১২ আগস্ট শিশু হাফিজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ট্যাঙ্কির মধ্যে ফেলে দেয়। একই বছরের ২২ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌরনদী থানার এসআই মিজানুল হক মাজাহারুলকে মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দিয়ে বাকি তিন জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল ১৮ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে দুই জনের যাবজ্জীবন ও কিসমত জাহান হ্যাপিকে বেকসুর খালাস দেন।