বিলাসবহুল একটি গাড়ি ক্রয়কে কেন্দ্র করে বিক্রেতার বিরুদ্ধে জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবরের করা একটি মামলার কার্যক্রমের উপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার (৯ এপ্রিল) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই স্থগিতাদেশ দেন।
এছাড়া এই মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসিফকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কুমার দেবুল দে।
আইনজীবী কুমার দেবুল দে জানান, দুই কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যে ২০১১ সালে এম এম এন্টারপ্রাইজ থেকে বিএমডব্লিউ-এক্স৫ ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি ক্রয় করেন। গাড়ি ক্রয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিং সার্ভিস লিমিটেডের (আইএলএফএস) এর কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা ঋণ নেয়। ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি আইএলএফএস এর নামে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছ থেকে লাইসেন্স ও রুট পারমিট নেয়। পরে সেই গাড়ির লাইসেন্স ও রুট পারমিট নবায়ন করতে গেলে বিআরটিএ জানায় গাড়িটির সকল কাগজপত্র জাল ও ভুয়া। বিআরটিএ এই তথ্য জানানোর পর এমএম এন্টারপ্রাইজের (আসিফ যার কাছ থেকে গাড়িটি কিনেছিলেন) স্বত্ত্বাধিকারী মনিরুল আলম একটি মামলা করেন। মনিরুল আলম যাদের কাছ থেকে প্রথমে গাড়িটি নিলামে ক্রয় করেছিলেন মামলায় তাদের আসামি করা হয়। সেই মামলায় আসিফও একজন সাক্ষী ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ওই মামলা করার পর গাড়ির বিষয়ে সিএমএম কোর্ট সিআইডিকে তদন্ত করতে বলে। সিআইডি তদন্ত করেও গাড়ির কাগজপত্র ভুয়া ও জাল বলে প্রমাণ পায়। এরপর আসিফ আকবর এম এম এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে গাড়ি ক্রয় বাবদ যে ২ কোটি ২০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন তা ফেরতে ২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল একটি চুক্তি করে। চুক্তির অংশ হিসেবে ৬০ লাখ টাকা ফেরতও দেওয়া হয়েছে।
এ অবস্থায় গায়ক আসিফ ২০১৫ সালে এমএম এন্টারপ্রাইজের মালিক মনিরুল আলমের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম কোর্টে একটি প্রতারণার মামলা করে। সেই মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে গত ৩ এপ্রিল হাইকোর্টে আবেদন করেন মনিরুল। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত রবিবার এই আদেশ দেন।