স্টাফ রিপোর্টার ll
বরাদ্দকৃত অর্থ ছাড় না দেয়ায় জেলার গৌরনদী হাইওয়ে থানা পুলিশের ভবন নির্মান কাজ দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ রয়েছে। দুই বছর আগে ভবনটির নির্মান কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা থাকলেও কবে নাগাদ নির্মান কাজ শেষ হবে তার নিশ্চয়তা দিতে পারছেনা কেউ।
অপরদিকে গৌরনদী হাইওয়ে থানার ৪০জন পুলিশ সদস্য গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডের পরিত্যক্ত সরকারী অডিটেরিয়াম ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। অডিটেরিয়ামটি ব্যবহারের অযোগ্য হওয়ার কারণে সেটি ভেঙ্গে ফেলে ওইস্থানে একটি আধুনিক ভবন তৈরীর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পুরাতন ভবনটি ভাঙ্গার কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। তাই হাইওয়ে থানা পুলিশকে ভবনটি ত্যাগের নোটিশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নিজস্ব ভবনের কাজ সমাপ্ত না হওয়ার কারণে সেখানেও যেতে না পারায় চরম ভোগান্তিতে পরেছেন গৌরনদী হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্যরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে গৌরনদীর কটকস্থল নামকস্থানে মহাসড়কের পাশে গৌরনদী হাইওয়ে থানা স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বার্থী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হেসেন মিয়া হাইওয়ে থানার জন্য এক একর জমি দান করেন। ওইস্থানে ভবন নির্মানের আগে ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান করা হয়। এছাড়া গৌরনদী হাইওয়ে থানার সংযোগ সড়ক নির্মান করা হয় ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে।
সূত্রমতে, ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে হাইওয়ে থানার দ্বিতল ভবন নির্মানের জন্য এক কোটি ২৭ লাখ টাকার টেন্ডার আহবান করে গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃপক্ষ। বরিশালের মের্সাস টিপু সুলতান কনেষ্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভবন নির্মানের কার্যাদেশ পেয়ে ২০১৪ সালের জানুয়ারী মাসে হাইওয়ে থানা ভবনের নির্মন কাজ শুরু করেন। কার্যাদেশ মোতাবেক ভবনটির নির্মান কাজ ২০১৫ সালের জুলাইয়ের মধ্যে সমাপ্ত হওয়ার কথাছিলো। কিন্তু ঠিকাদার প্রায় অর্ধকোটি টাকার বিল না পাওয়ার কারণে কাজ ফেলে রেখেছেন।
ওই কাজের ঠিকাদার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি প্রায় ৮৫ ভাগ কাজ সমাপ্ত করেছি। ফ্লোরে টাইলস বসানো, রং করা ও ইলেকট্রিক সংযোগ দেয়া বাকী আছে। ভবনের কাজ শুরুর পরে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। সবমিলে আমার এখনো ৫৩ লাখ টাকার বিল বাকী রয়েছে। একনেকের মিটিংএ পাস না হওয়ায় বিলের টাকা পাওয়া যাচ্ছেনা। ফলে কাজও শেষ করা যাচ্ছেনা।
(Visited ৫ times, ১ visits today)