উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধে দেশটিতে পারমাণবিক হামলা এবং একইসঙ্গে দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উনকে হত্যার পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এনবিসি।
ইতোমধ্যেই ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল এই বিষয়ে একটি সম্পূর্ণ প্রতিবেদন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হস্তান্তর করেছে৷ কিমের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও উত্তর কোরিয়াকে শিক্ষা দিতেই ওয়াশিংটন এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘২০ বছরের কুটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার অবৈধ কর্মসূচি বন্ধ করা যায়নি। তাই এখন শক্তি প্রয়োগই একমাত্র পথ।’
এদিকে, জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালে সরাসরি বলে দিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আমেরিকা আর কোনও বৈঠকে বসতে রাজি নয়।
উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যসব দেশের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে একের পর এক পরমাণু বোমা ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে প্রেসিডেন্ট কিম জং উন৷ প্রতিবেশি দক্ষিণ কোরিয়াকে এক হাত নিতে দেশটি বদ্ধপরিকর। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো উত্তর কোরিয়াকে পরমাণ কর্মসূচি বন্ধে বারবার চাপ দিলেও তাতে কর্ণপাত করেননি কিম। এমনকি আরও বৃহৎ পরিসরে পরমাণু পরীক্ষা চালাচ্ছেন। এ অবস্থায় উত্তর কোরিয়াকে রুখতে কিমকে হত্যা এবং দেশটিতে পারমাণবিক হামলার বিকল্প দেখছে না পেন্টাগন।