কুয়ালালামপুর-ঢাকা রুটের একটি ফ্লাইটে যাত্রীদের পঁচা দুগর্ন্ধযুক্ত খাবার সরবহরাহের দায়ে দুই লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সকে। বৃহস্পতিবার রাতে ৬ যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতেইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সকে এ জরিমানা করেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) কুয়ালালামপুর-ঢাকা রুটে ইউএস বাংলার বিএস-৩১৬ ফ্লাইটে যাত্রীদের খাবারের সঙ্গে ফিরনি দেওয়া হয়। সেই ফিরনি খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। কেউ কেউ আবার ফ্লাইটে বমিও করেন।
ফ্লাইটে খাবারের সঙ্গে পরিবেশিত ডেজার্ট ফিরনির খেয়ে এমন সমস্যা হওয়া অভিযোগ করেন যাত্রীরা। ফ্লাইটে থাকা অনেক শিশু পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়। এ ঘটনায় সেই ফ্লাইটে থাকা ৬ জন যাত্রীর পক্ষে জাকির আহমেদ নামের একজন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভ্রাম্যমাণ আদালতে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারী যাত্রী জাকির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ফ্লাইটে খাবারের সঙ্গে ডেজার্ট হিসেবে ফিরনি দেওয়া হয়। সেই ফিরনি দুর্গন্ধযুক্ত ছিল। এছাড়া, সাদা ফাঙ্গাসের লেয়ার পড়ে ছিল। আমার দুই শিশু এই ফিরনি খেয়ে পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়। ফ্লাইটের অন্যযাত্রীরাও অসুস্থ হয়ে বমি করেছেন। এ বিষয়ে কেবিন-ক্রদের জানালে তারা বলেন, তাদের কাজ শুধু সার্ভ করা।
এ প্রসঙ্গে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের (ডিজিএম-মার্কেটিং সাপোর্ট এন্ড পিআর) মো. কামরুল ইসলাম জানান, গত তিন বছর ধরে সেবার মান নিশ্চিতে সর্বোচ্চ সর্তকতা রক্ষা করে যাচ্ছে ইউ এস বাংলা। কেন এমন ঘটনা ঘটলো, তা তদন্ত করে দেখা হবে।
জরিমানা প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইউসুফ বলেন, যাত্রী জাকির আহমেদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফিরনির নমুনাগুলো এয়ারপোর্ট হেলথ ডিপার্টমেন্টের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কর্তৃক পরীক্ষার পর এবং ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষের দায় স্বীকারের ভিত্তিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫৩ ধারায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আদায়কৃত জরিমানার ২৫ শতাংশ তথা ৫০ হাজার টাকা একই আইনের বিধানমতে যাত্রী জাকির আহমেদ বুঝে নিয়েছেন। অবশিষ্ট অর্থ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত খাতে জমা দেওয়া হয়েছে।
ক্যাটারিং সার্ভিসে এ ধরনের অবহেলা ও বিপর্যয় সত্যিই দুঃখজনক-যোগ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।