বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস শুক্রবার (৭ এপ্রিল)। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য- ডিপ্রেশন: লেটস টক। এর বাংলা ভাবার্থ দাঁড়ায়- আসুন বিষন্নতা নিয়ে কথা বলি।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দিবসের জাতীয় অনুষ্ঠান শুরু হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এছাড়া অন্যান্য জেলা ও উপজেলায়ও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বস্বাস্থ্য দিবস পালন করা হবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে ৫ এপ্রিল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দিবস পালনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুযায়ী, পৃথিবীর প্রায় ৩০ কোটি মানুষ বিষন্নতায় ভুগছে। দেশভেদে শতকরা ৩ থেকে ১৭ জন মানুষ বিষন্নতায় আক্রান্ত।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর শতকরা ৪ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ বিষন্নতায় ভুগছে। এই হিসাবে বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ৭৩ লাখ ৬০ হাজার বিষন্নতায় ভুগছে।
জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সে বিষন্নতার লক্ষণ প্রথম দেখা যায়। এছাড়া ১৫ থেকে ১৮ বছর ও ৬০ বছর বয়সের বেশি ব্যক্তিদের মধ্যে এর ঝুঁকি কিছুটা বেশি।
জরিপের তথ্যে আরও দেখা গেছে, বর্তমান বিশ্বে ‘ডিজিজ বার্ডেন’হিসেবে বিষন্নতার স্থান তৃতীয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ২০৩০ সালে বিষন্নতা ‘ডিজিজ বার্ডেন’তালিকায় প্রথম স্থানে অবস্থান করবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক হিসাব অনুযায়ী, সারাবিশ্বে প্রতিদিন ৩ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। এ হিসাবে বছরে আত্মহত্যার সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১১ লাখ। এরমধ্যে বেশিরভাগ আত্মহত্যাই ঘটে বিষন্নতার কারণে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বাণীতে বলেন, ‘দিবসটির প্রতিপাদ্য- আসুন, বিষন্নতা নিয়ে কথা বলি। এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও অনেক মানুষ বিষন্নতাজনিত মানসিক রোগে ভুগছে।’
আব্দুল হামিদ আর বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সর্বস্তরের জনগণ মানসিক রোগ বিশেষ করে বিষন্নতাজনিত মানসিক সমস্যা সম্পর্কে সচেতন হবে এবং এর প্রতিকার ও প্রতিরোধে উদ্বুদ্ধ হবেন বলে আমার বিশ্বাস।’
প্রধানমন্ত্রীর বাণীতে বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্য সার্বিক স্বাস্থ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মানসিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। মানসিক রোগের মধ্যে বিষন্নতাজনিত সমস্যা অন্যতম। মানসিক রোগের প্রতিকার, প্রতিরোধে এবং সেবার মান উন্নয়নে ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে আমাদের সরকার নানামুখি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।’