চলতি বছরের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের ভুলের জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ৬ কর্মকর্তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে।
এদের মধ্যে মঙ্গলবার ২ জনকে ও বুধবার (৫ এপ্রিল) ৪ জনকে বদলি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে। পাঠ্যবইয়ের ভুলের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এ কর্মকর্তাদের শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমানকে প্রধান করে গঠিত কমিটি গত ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয়।
বুধবার এনসিটিবি’র প্রাথমিক শিক্ষাক্রম উইংয়ের সদস্য মো. আব্দুল মান্নানকে ঝিনাইদহের সরকারি কে সি কলেজে বাংলার অধ্যাপক, সম্পাদক গৌরাঙ্গ লাল সরকারকে নোয়াখালী হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজে বাংলার সহযোগী অধ্যাপক, বিশেষজ্ঞ মো. মোসলে উদ্দিন সরকারকে পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশেষজ্ঞ মো. হান্নান মিঞাকে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের বাংলার সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, তারা বৃহস্পতিবারের মধ্যে এনসিটিবি থেকে অবমুক্ত হবেন। তা না হলে তারা বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন।
এর আগে মঙ্গলবার এনসিটিবি’র সচিব ইমরুল হাসানকে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সরকারি কলেজে সহযোগী অধ্যাপক এবং গবেষণা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানাকে রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রভাষক হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
চলতি শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৮৫টি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের কয়েকটি বইয়ের ভুলত্রুটি নিয়ে জানুয়ারি মাসের শুরুতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এসব নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।
তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনায় এনসিটিবি’র সদস্য (অর্থ) অধ্যাপক কাজী আবুল কালামকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে এনসিটিবি’র প্রধান সম্পাদক প্রীতিশ কুমার সরকার ও ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ লানা হুমায়রা খানকে ওএসডি ও আর্টিস্ট কাম ডিজাইনার (চিত্র ও নকশাকার) সুজাউল আবেদিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
পরে ৯ জানুয়ারি অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমানকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটিতে ৭ কর্মদিবস সময় দেওয়া হলেও কমিটি কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে নেয়।