বাংলাদেশে চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল সেবা ফোর-জি চালু করতে চলতি অর্থবছরের মধ্যে নিলাম সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সচিবালয়ে বুধবার (৪ এপ্রিল) বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর লভ্যাংশের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করছি, আরেকটা সিদ্ধান্ত এবারই ঘোষণা করবো, যার ফল আগামী বছর পাওয়া যাবে। যাতে আমরা আরও কিছু টাকা পয়সা পাবো। একটা বড় আয়ের উৎস হলো বিটিআরসি। সেখানে আমরা তরঙ্গ ভাগ করে দেই, সেখানে বড় টাকা পাই।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তার অকশনটা (নিলাম) এ বছরই হওয়ার কথা ছিল। বাট হবে কি-না, আমার একটু সন্দেহ আছে। এ বছর না হলেও ইট শুড বি ইন দিস ক্যালেন্ডার ইয়ার। সেখান থেকে বেশ ভাল কিছু পয়সা পাই। এবার তো ফোর-জি। সেখানে আরও বেশি কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘সরকার কেবল রাজস্ব আদায় করে না। সরকারের নিজেদেরও কিছু কিছু রোজগার আছে। এটা বাড়াবার চেষ্টা করছি। আমাদের কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যারা ব্যবসায় লিপ্ত। তারা আমাদের টাকা পয়সা দেন। দেখতে পারছেন, এটা বাড়ছে কি করে। ইডরা গত বছর ২৮ কোটি, এবারে ১০০ কোটি টাকা।’
‘আমরা এটা আরও চেষ্টা করছি। যাতে সরকারি আদায় বাড়তে পারে। সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন চার্জটার্জ নেয়। খুবই সস্তা বিভিন্ন সেবা সরবরাহ করে। অধিক ক্ষেত্রে যে সেবা দেয়, তার চেয়েও কম নেয়। এখন আমরা মোটামুটিভাবে ঠিক করেছি যে, যেখান থেকে সেবা দেবো, সেখান থেকে খরচটাকে কালেক্ট করতে হবে। একটু যদি বাড়ানো যায়, সেটাও করবো। সেটারও অনেকগুলো পদক্ষেপ এরই মধ্যে নেওয়া হয়েছে।’
সরকারের টাকা রোজগারের আরেকটা উপায় আছে জানিয়ে মুহিত বলেন, ‘সেটা হচ্ছে, তারা যদি কোন প্রতিষ্ঠানে শেয়ার বিক্রি করে। সেটারও কিছু প্রকল্প আছে। আমি এখন বলতে পারবো না। কারণ এখনও অনুমোদন পাই নাই। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এটার জন্য অনুমোদন দরকার।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যেমন মানুষের কাছে বেশি রাজস্ব আদায় করছি। অন্যান্য ক্ষেত্রেও সরকারি আয় বাড়ানোর চেষ্টা করছি। সরকারের আয় বাড়া মানেই জনসেবা।’
‘আমরা এই সরকারের শুরু থেকেই ডেফিসিট রিনাউন্সিং ৫ শতাংশের বেশি করি না। ৫ শতাংশ রাখি লক্ষ্য কিন্তু কোনদিনই ৪ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি যাই নাই। এটা বাংলাদেশের জন্য বিশেষ একটা বিষয়’ বলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মুহিত।
আর কেউ এই দেশে হরতাল ডাকবে না
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নটা এই অঞ্চলে খুবই কনসিসটেন্ট। ভারতের পারফরমেন্স খুবই ভাল। কিন্তু উত্থান-পতন অনেক আছে। আমাদের সে রকম নাই। গত প্রায় ২০ বছর আমাদের প্রবৃদ্ধি প্রায় ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। এবারে আমাদের লক্ষ্য ৭ দশমিক ২ শতাংশ।’
তিনি বলেন, ‘আমার প্রত্যাশা এটা ৭ দশমিক ২-এর চেয়েও বেশি হবে। কোন কোন প্রজেকশন অনুসারে এটা ৭ দশমিক ৫ বলা হয়েছে। এবার দেশে শান্তির ফল ভোগ করছি। ২০১৬ সালে কোন ডেমোনেস্ট্রেশন ছিল না। এখনতো বেশ ভাল চলছে।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইট হ্যাজ বিন এনফোর্সড বাই ইকোনোমিক ফোর্সেস। মানুষ অর্থনৈতিক কাজে এত ব্যস্ত। আমার মনে হয়, আর কেউ এই দেশে হরতাল ডাকবে না। কেননা হরতাল চলবে না। ইট উইল বি টোটালি ফ্রাসট্রেটেড। দ্যাট ইজ কস অব এক্সপানশন অব ইকোনোমিক একটিভিটিস।’
‘আমাদের পলিসি খুবই সিম্পল। পোভার্টি এলিমিনেশন। এটা আরও বহু বছর একটাই থাকবে। কেননা দারিদ্র্য কমাতে পারলে চাহিদা বাড়বে। যাতে উৎপাদনও বাড়তে পারবে। সেটা প্রবৃদ্ধিও বাড়াবে। এটা বাংলাদেশের আরও অন্ততপক্ষে ১০ বছর চলবে। লেটস হোপ, উই শ্যাল হ্যাভ গুড
টাইম ইন ফিউচার।’
এ সময় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।