দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে গত কয়েকদিন থেকে টানা বৃষ্টির কারণে উৎপাদিত রসুন শুকাতে পারছে না রসুন চাষিরা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ব্যাপকহারে রসুন চাষ হয়েছে। রসুনের ফলনও বাম্পার হয়েছে। মার্চ মাসের প্রথম থেকে রসুন উত্তোলন আর বেচাকেনা শুরু হয়। শুরুতে এসব রসুনের বাজার মূল্য প্রতি মণ প্রায় আড়াই হাজার টাকা থাকলেও বর্তমানে অসময়ে বৃষ্টির কারণে তা কমে ২ হাজার টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে।
চিরিরবন্দরে চৈত্র মাসের প্রথমেই অসময় বৃষ্টিপাতের কারণে পিঁয়াজ, রসুন, মরিচসহ রবিশষ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে রবিশষ্য চাষিরা বিপাকে পড়েছে। গত কয়েকদিনে উপজেলায় প্রায় প্রতিদিনেই রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হওয়ায় দিনের বেলায় আকাশ সারাদিনেই মেঘাচ্ছন্ন থাকে। এতে চাষি উৎপাদিত রসুন সঠিক সময়ে শুকাতে না পেরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার সাতনালা গ্রামের রসুন চাষি নজরুল ইসলাম, শওকত আলী, নালীপাড়া গ্রামের মুকুল হোসেন, মামুন ইসলাম, মাস্টারপাড়া গ্রামের শাহীনুর ইসলাম ও জাকির হোসেন এবং নশরতপুর গ্রামের শহিদ ইসলাম এই ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন।
তারা বলেন, ‘আবহাওয়া খারাপ, ঠিকমত রসুন শুকাতে পারছি না। আর বাজারে রসুনের দামও কমতে শুরু করছে। রসুন নিয়ে মহাবিপদে আছি।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে রসুনের ভালো দাম থাকায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে রসুনের চাষাবাদ করা হয়েছে। এ বছর ৩ শত ৪৭ হেক্টর জমিতে রসুন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু রসুন চাষ হয়েছে ৬ শত ৮০ হেক্টর জমিতে। যা গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদুল হাসান দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বৈরি আবহাওয়ার কারণে রসুন চাষিরা রসুন শুকাতে পারছে না। তাছাড়া চৈত্র মাসে প্রচুর রোদ থাকে কিন্তু এবারে আবহাওয়া ভিন্ন রকম হয়েছে। তবে রসুন কাদা মাটি থেকে তুলে ভালভাবে শুকাতে পারলে কোনো ক্ষতি হবে না।