ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) পরবর্তী সম্মেলন (১৩৭তম) পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই সিদ্ধান্তে ঘোর আপত্তি জানিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির এমপি বি. টারজোক বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। দেশটি চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। আইপিইউ যেসব বিষয় ধারণ করে তা রাশিয়ার মধ্যে নেই। তাই ওই দেশে আইপিইউ এর সম্মেলন যাতে না হয় সেই দাবি জানচ্ছি।’
ঢাকারআন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানরত আইপিইউ সম্মেলনের তৃতীয় দিন (সোমবার) সাধারণ বিতর্কে অংশ নিয়ে এ দাবি জানিয়েছেন বি. টারজোক।
বাংলাদেশের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া এই সেশনে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী।
বি. টারজোক বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনে লুটতরাজ চালাচ্ছে। আমরা ইউক্রেনিয়ানরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। রাশিয়া যদি জাতিসংঘের নিয়মগুলো মেনে চলে তাহলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘আইপিইউ ও জাতিসংঘ মিলে আমরা শান্তি রক্ষা করে চলতে চাই। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো মিডল ইস্টসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। আমরা প্রতিজ্ঞা করতে চাই আর যেন একটিও মৃত্যু না ঘটে। কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয় তা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’
অর্থনেতিক ও সমাজিকভাবে অবিচার দূর করে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ঢাকায় ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) ১৩৬তম সম্মেলন বসেছে । গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটির উদ্বোধন করেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্রে এর কার্যক্রম চলবে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ।
প্রতি বছর আইপিইউ এর ২টি এসেম্বলি অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমটি মার্চ বা এপ্রিল মাসে হয়। এটি সাধারণত একটি সদস্য দেশ হোস্ট হিসেবে আয়োজন করে থাকে। অপরটিঅক্টোবর মাসে আইপিইউ-এর সদর দপ্তর জেনেভায় অনুষ্ঠিত হয়। আইপিইউ-এর সদস্য দেশসমূহ ৬টি জিওপলিটিক্যাল গ্রুপে বিভক্ত। বাংলাদেশ এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপের দেশ। এ গ্রুপে মোট ৩১টি দেশ রয়েছে।