শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধে আগামী এসএসসি পরীক্ষা থেকে স্থানীয় প্রশাসনের অধীনে প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।
বোর্ড পরীক্ষাসহ নানা পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনার সঙ্গে জড়িত অসাধু শিক্ষকদের চিহ্নিত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
রবিবার উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা (বাংলা ১ম পত্র) শুরুর আগে ঢাকা কলেজ পরিদর্শনকালে মন্ত্রী গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু অসাধু শিক্ষক প্রশ্নফাঁসে জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। শুধু শিক্ষকরা নয়, কলেজের প্রিন্সিপাল পর্যন্ত প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা টাকার বিনিময়ে প্রশ্নফাঁস করছেন। তাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। সময়মতো তাদেরকে জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে।’
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক কষ্টে বিজি প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা বন্ধ করা গেছে। কিন্তু শিক্ষকরা টাকার জন্য এমসিকিউর উত্তর বলে দিচ্ছেন। প্রশ্নের ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এভাবে হলে তো প্রশ্নফাঁস বন্ধ করা সম্ভব না।’
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, অভিভাবকরা প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে কথা বলেন না, প্রতিবাদ করেন না। তাই প্রশ্নফাঁস পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না। প্রশ্নফাঁস বন্ধে অভিভাবকদের কার্যকরী ভুমিকা থাকতে হবে’।
এ সময় প্রশ্নফাঁস বন্ধে অভিভাবকদের সহযোগিতা চান তিনি।
উল্লেখ্য, রবিবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি ও মাদ্রসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সারাদেশে একযোগে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এবার এইচএসসি পরীক্ষায় সকল বোর্ডের অধীনে মোট ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। গত বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৩৪ হাজার ৯৪২ শিক্ষার্থী কম অংশ নিয়েছে।