মোঃ শাহাজাদা হিরা.
সিনিয়ার স্টাফ রির্পোটার.
গতকাল ১ এপ্রিল শনিবার দুপুর ৩ টার দিকে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ও র্যব-৮ মেডিমেট ফার্মাসিউটিক্যালকে লিঃ এ অভিযান চালায় এসময় তার সেখানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পেনিসিলিন ঔষধ উৎপাদন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাজমুল হোসেন খান বরিশাল তিনি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মেডিমেট ফার্মাসিউটিক্যাল লিঃ কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এসময় জব্দ করা এ্যামোক্সিসিলিন গ্রুপের এন্টিবায়োটিক ৩ হাজার ৪৬৫ বোতল ‘হাইকনসিল ড্রাই সিরাপ’ ও ফ্লুক্লব্জাসিলিন গ্রুপের ২৮ হাজার ‘ফ্লুসিলিন’ ক্যাপসুল ধ্বংসের নির্দেশ দেয়া হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৫ লাখ টাকা। পরে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর ও র্যব-৮ এর সহায়তায় জব্দ করা ঔষধ ধ্বংস করা হয়। এ অভিযান চালানো হয় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর ও র্যব-৮ এর যৌথ আয়োজনে। বরিশালের ড্রাগ সুপারভাইজার তানভির আহমেদ জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালত মেডিমেট ফার্মাসিউটিক্যালকে লিঃসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের এ ওষুধ উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু তারা আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে তারপরও মেডিমেট ফার্মাসিউটিক্যাল উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছিল । শুধু তাই নয়, সেখানে গিয়ে আমরা দেখতে পাই এ্যামোক্সিসিলিন গ্রুপের এন্টিবায়োটিক হাইকনসিল নামক একটি সিরাপ উৎপাদন হচ্ছে কিন্তু তার গায়ে লেখা উৎপাদনের তারিখ দেখাচ্ছে জুন ২০১৬ সালের। ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মেডিমেটের লজিস্টিক ম্যানেজার ছানাউল্লাহ বলেন, এই উৎপাদন অনেক পুর্বের ছিলো কিন্তু তারিখের বিষয়টি আমাদের টাইম ফ্রেমেই ছিলো কিন্তু আমাদের এই ঔষধটি বাজারযাত করা থেকে আদালত বিরত থাকতে বলেছিলো কিছু সময়ের জন্য। কিন্তু তারা এ বিষয়ে তেমন কিছু জানতেন না । ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাজমুল হোসেন খান বলেন, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। তাই জব্দ করা ওষুধ ধ্বংস করার পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মেডিমেট ফার্মাসিউটিক্যাল লিঃ কে । তিনি আরও বলেন, উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মেডিমেট মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ তৈরি করে মানুষের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছে তারা।