মোঃ শাহাজাদা হিরা.
সিনিয়ার স্টাফ রির্পোটার.
বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন র্পযায়ের নিয়মিত ও দৈনিক মজুরি ভিত্তিকি র্কমর্কতা-র্কমচারীদরে অবস্থান র্ধমঘট ও লাগাতার কর্মবিরতি এবং অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে অচল হয়ে পড়েছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম। ২৭ মার্চ সোমবার সকাল থেকে অনিদৃষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতির হুশিয়ারী দিয়েছেন কর্মচারীরা। সমস্যার সমাধান না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচীর ঘোষণা দেয়া হবে বলে তারা জানায়। এদিকে প্রতদিনি সকাল থেকে র্কমর্কতা-র্কমচারীরা র্কমস্থলে যোগ না দিয়ে র্কপোরশেন ভবনরে সামনে অবস্থান নিয়ে র্ধমঘট পালন করছনে। বেতন-ভাতার আশ্বাস না পেয়ে তারা কর্মস্থলে যোগদান করবেনা বলে জানায়। এদিকে গতকাল ১ এপ্রিল দুপুর ৩ টায় বিসিসির মেয়র আহসান হাবিব কামাল’র কালুশা সড়ক এর নিজ বাস ভবনে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের চলমান সংকট বিষয়ে নগরবাসীকে অবহিতকরণ বিষয়ক এক সংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন। সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে বিসিসির মেয়র সিটি কর্পোরেশনের চলমান সংকট নিয়ে বিষদ ভাবে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা করেন।
সেখানে তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন ভাবে যানতে পেরেছি বেতন ভাতার কথা বলে কর্মচারীদের জিম্মি করে একটি কুচকরি মহল অনৈতিক ভাবে নিজস্ব স্বার্থ সিদ্ধির চেষ্টা করছে, এমনকি ব্যক্তিগত অনৈতিক সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর তাদের সেই চালাকিতে পরে বিসিসির সাধারণ কর্মচারীদের দিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে কর্মবিরতি এবং অবস্থান ধর্মঘট পালন করাচ্ছে এর ফলে আরমার প্রিয় নগরবাসীরকে সিমাহিন ভোগান্তিতে ফেলেছে। এই ভোগান্তির জন্য আমি নগরবাসীর কাছে দুঃখ্য প্রকাশ করছি পাশাপাশি বিসিসির সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্ব-স্ব কাজে যোগদানের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
সাংবাদিক দের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৩৫ জন কাউন্সিলা দের সাথে বিভিন্ন ভাবে আলোচনা করে এই চলমান সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যে ব্যংকে র্কমর্কতা-র্কমচারীদরে একমাসের বেতন ভাতা দেওয়া হয়েছে বাকি একমাসের বকেয়া বেতন ভাতা আগামি কাল ২ এপ্রিল সকাল ১০টায় পরিশোধ করা হবে। এবং আজ রাতেই সকল র্কমর্কতা-র্কমচারীদরে কে স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগ দান করার জন্য বলা হবে। যদি কোন কর্মকর্তা কর্মচারী কালকে কর্মস্থলে যোগদান না করে তবে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন যদি কোন কর্মচারীরা কালকে কাজে যোগদান না করে তবে কালকেই কাউন্সিলারদের সহায়তায় নতুন লেবার দিয়ে বরিশাল নগরীর সকল ময়লা আবর্জনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে।
সাংবাদিক দের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে যেখানে বিধি মোতাবেক কর্মকর্তা/কর্মচারী থাকার কথা ৪৪২ জন, সেখানে ২১ শত কর্মকর্তা/কর্মচারী নিয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন পথ চলছে। তাছাড়া ২০১৬ সালে সরকার নতুন পে-স্কেল প্রদানের ফলে বেতন প্রয় দ্বিগুন হয়ে যায় ফলে শুধুমাত্র বেতন বাবদ ঘাটতি দাড়ায় বছওে প্রায় ১৩ কোটি টাকা। এদিকে সিটি কর্পোরেশনের যে সকল খাতে রাজস্ব আয় হয় তা কোন মতেই বার্ষিক ২০-২৫ কোটি টাকার বেশি নয়। কিন্তু শুধুমাত্র বেতন ও সম্মানী বাবদ প্রতিবছর প্রাযোজন প্রায় ২৭ কোটি টাকা। এছাড়া অন্যান্য সকল খরচ বাবদ প্রতি বছর সিটি কর্পোরেশনের প্রয়োজন ৪০-৪৫ কোটি টাকা এ বাড়তি টাকার ঘাটতি সব সময়ই বহন করতে হয় ফলে বেতন ভাতা বকেয়া সহ বিভিন্ন সমস্যায় আমাদেও পরতে হয়।