স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের প্লানেট ৫০-৫০ বাস্তবায়ন প্রতিশ্রুতির অংশ হিসাবে জেন্ডার সমতার জন্য বাংলাদেশ ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে। নারীরা সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করায় লিঙ্গ সমতায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সেলিব্রেটি হলে ১৩৬তম ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) সম্মেলনের উদ্বোধনী দিন শনিবার নারী পার্লামেন্টারিয়ান ফোরামের ২৫তম অধিবেশনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। তিনি কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের (সিপিএ) নির্বাহী চেয়ারপারসন এবং ১৩৬তম আইপিইউ এসেম্বলির সভাপতি।
স্পিকার বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিতে পল্লী এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে নারীদের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নিদের্শনায় সরকার ৫০-৫০ প্লানেট বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিধবা ভাতা, তালাকপ্রাপ্ত ভাতা, বয়স্ক ভাতা অতি দরিদ্র মহিলাদের জন্য বিশেষ খাদ্য কর্মসূচিসহ নারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভাতা চালু করেছে। নারীদেরকে এখনো বেতন বৈষম্য, সহিংসতার মতো বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলেও তারা সহযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে নারীরা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অবদান রাখছে।
অনুষ্ঠানে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, বিশেষ করে উন্নয়নের চালিকাশক্তি হিসাবে নারীর আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে একটি খসড়া প্রস্তাব করা হয়। দুটি গ্রুপে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে আইপিইউ সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, শত বছরের পুরনো এই সংগঠন বিশ্বব্যাপী জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের প্রধান স্লোগান হলো: কাউকে আর পিছিয়ে রাখা যাবে না, নারীকে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আইপিইউ’র মহাসচিব মার্টিন চুংগংও বক্তব্য রাখেন। ডা. দীপু মণি এমপি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সেশনে ২০৭ জনের বেশি নারী প্রতিনিধি যোগ দেন। তারা লিঙ্গ বৈষম্য দূর করে আর্থিক সেবা বৃদ্ধির আহবান জানান।