দলীয় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে বলে মনে করছেন ক্ষমতাসীন দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটউশন মিলনায়তনে শুক্রবার (৩১ মার্চ) ইউনাইটেড পার্টি আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেছেন।
হানিফ বলেছেন, ‘দলের মধ্যে শৃঙ্খলা রাখতে হবে। দলের মধ্যে থেকে ব্যক্তি স্বার্থ, ব্যক্তি লোভ কাজ করবে এটা মেনে নেওয়া হবে না। স্থানীয় নির্বাচনে অনেক সময় গ্রুপিং, দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়ে। যার প্রমাণ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। দলের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে এ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে নির্বাচনে।’
দলের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে যারা কাজ করেছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘কুমিল্লার বিষয়ে ইতোমধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদকদের তথ্য নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এরপর সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
‘এই জয়ে প্রমাণিত হয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের অনাস্থা আছে’ বিএনপির এমন বিবৃতির জবাবে হানিফ বলেছেন, ‘স্থানীয় নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচন এক নয়। স্থানীয় নির্বাচনে সিটি মেয়র, পৌরসভা মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারমান, মেম্বারদের ব্যক্তিগত ইমেজের বিষয় আছে। পারিবারিক সামাজিক ও আঞ্চলিকতার টান থাকে। এই নির্বাচন দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের পরিসংখ্যান করার কোনো সুযোগ নেই। এই বোধ যাদের মাঝে নেই তাদের কাছে জাতি কি আশা করতে পারে?’
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘এই নির্বাচনের পর বিএনপি যদি মনে করে থাকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হবে তাহলে প্রস্তুত হন, ভোটে নামুন, জনগণের আস্থা কার প্রতি আছে তা প্রমাণ হয়ে যাবে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবে জনগণ।’
জঙ্গি দমনে খালেদা জিয়ার ঐক্যের আহবানের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেছেন, ‘কার সঙ্গে ঐক্য? যারা জঙ্গিবাদে পৃষ্টপোষকতা করে তাদের সঙ্গে? ঐক্য তো বেগম খালেদা জিয়া করতে যাচ্ছে জঙ্গিদের রক্ষা করার জন্য। আজ তো আন্তর্জাতিকভাবেই স্বীকৃত হয়েছে এ দেশে যত জঙ্গি-হাঙ্গামা হয়েছে তার পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। এরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইসমাঈল হোসাইনের সভাপতিত্ব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।