২০২৩ বিশ্বকাপের আগে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, তার সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে পেসার ইবাদত হোসেনকে না পাওয়া। এরপর হয়ে গেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও, পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা এই পেসারকে টিভিতে দেখতে হয়েছে সতীর্থদের খেলা।
আশার কথা হলো- ইবাদতের অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার ৪৮ সপ্তাহ শেষ হয়েছে, শতভাগ ফিটনেসে বোলিং করা থেকে আছেন অল্প দূরে। মেডিকেল বিভাগ থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন আগেই, চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে পেয়ে যাবেন ম্যাচ ফিটের ছাড়পত্র।
বাকিটা খেলা না খেলা নির্ভর করবে টিম ম্যানেজমেন্টের উপর। আপাতত ইবাদতের লক্ষ্য আসছে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের ভারত সফর। এই সফরে বাংলাদেশ তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ও দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে। ভারতের বিপক্ষে খেলার লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় দলের একজন ট্রেইনারের সঙ্গে একাগ্রচিত্তে নিজেকে প্রস্তুত করছেন ডানহাতি এই পেসার।
‘ইবাদতের লক্ষ্য যত দ্রুত মাঠে ফেরা যায়। আমরা কাজ করছি এটা নিয়ে। আর কিছু সপ্তাহ বাকি। নেটে কিংবা অনুশীলনে দেখে যদি ম্যানেজমেন্টের মনে হয় রিদমে আছেন তাহলে ভারত সিরিজেও তাকে বিবেচনা করতে পারেন। এখন দ্রুত সে এগোচ্ছে’-বলছিলেন ইবাদতকে নিয়ে কাজ করা ট্রেইনার।
একই কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী, ‘মেডিকেল দিক থেকে ইবাদতের কোনো সমস্যা নেই। আমাদের দিক থেকে আমরা ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছি। এখন তার কাজ হচ্ছে ম্যাচ ফিট হওয়া, রিদম ফিরে পাওয়া। মূল বিষয় হচ্ছে তার যে ইনজুরি ছিল সেটা এখন ক্লিয়ার। এখন ম্যাচ ফিট হতে হবে।’
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান পুরো ফিট হওয়ার পর তার বিষয়টা দেখা যাবে, সে ৭০ ভাগের মতো রিকভার করেছে। আশা করি, আগামী দুই মাসের মধ্যে আরও কিছু উন্নতি করবে। এখনও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছে। রিকভার করুক। তারপর দেখা যাবে।’
গত বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাম পায়ে চোট পেয়েছিলেন ইবাদত। অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্টের (এসিএল) চোটে পড়েছিলেন। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর জানানো হয়েছিল, চোট গুরুতর নয়।
এর পর চলছিল তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। কিন্তু, পুনর্বাসনে ভালো ফিডব্যাক না দেওয়ায় তাকে পাঠানো হয় লন্ডনে। সেখানে গত ৩০ আগস্ট ক্রমওয়েল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয় ইবাদতের। এরপর থেকে চলছে ইবাদতের ফেরার লড়াই।
বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ২০টি টেস্ট, ১২টি ওয়ানডে ও ৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন সিলেটের এই পেসার। উইকেট নিয়েছেন যথাক্রমে ৪২টি, ২২টি ও ৭টি। নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে ফাইফার নিয়ে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ইবাদতের সার্ভিস পেতে আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে দেবে সময়।