দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা উপলক্ষে বরিশাল পৌঁছেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সার্কিট হাউসে অল্প সময় বিশ্রামের পর বেলা তিনটার একটু আগেই তিনি জনসভার মঞ্চে পৌঁছান। এ সময় তাঁর সঙ্গে তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাও ছিলেন।
বরিশাল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আয়োজিত জনসভায় আজ শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে জনসভায় বরগুনার বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান ফোরকানের বক্তব্যের মাধ্যমে জনসভা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ।
জনসভা মঞ্চে উপস্থিত আছেন—আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হাফিজ মল্লিক, জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দারসহ আরও অনেকে।
এদিকে, শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দিতে আসা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকে ভরে গেছে লাল সবুজের পতাকায় ভরে গেছে জনসভাস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যান। এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধু উদ্যানের অর্ধেকেরও বেশি ভরে গেছে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে।
জনসভায় বরিশালের শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন থেকে আশা ফয়জুল হক জানান, শেখ হাসিনার নির্বাচনী বক্তব্য শুনতে এসেছেন তিনি। নাসিম হোসেন নামে কাশিপুরের যুবলীগ নেতা বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে প্রধানমন্ত্রী বার্তা নিয়ে এসেছেন। বরিশালের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী আরও কিছু সুসংবাদ শোনাবেন বলে আশা রাখি।’
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মতে, শেখ হাসিনার এই সফরে ১০ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে। এদিকে শেখ হাসিনার এই জনসভায় ভোলার গ্যাস বরিশালে সরবরাহ, শিল্পনগরী গড়াসহ ছয়-সাতটি দাবি তুলতে পারেন দলটির শীর্ষ নেতারা। এমনটাই জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে গঠিত কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার।
এর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ বরিশালে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ওই দিন তিনি বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার সীমান্ত বরাবর পায়রা নদীর লেবুখালী পয়েন্টে শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্ট উদ্বোধন করেন। পরে নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জনসভায় বক্তৃতা দেন।