অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগে বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহম্মেদের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পংকজ দেবনাথের প্রার্থিতা বহাল রেখেছেন কমিশন।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে নির্বাচন কমিশনের আপিল শুনানি শেষে এ রায় দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
বরিশাল-৪ আসনে (মেহেন্দীগঞ্জ-হিজলা) আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদ এবং বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পংকজ নাথের মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিষয়টি ঝুলে ছিল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আপিল শুনানি ছিল ইসিতে। আপিল শুনানিতে বিষয়টি সমাধান হয় শুক্রবার। সব পক্ষের অভিযোগ শোনা হয়।
এর আগে শাম্মী আহম্মেদের অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে।
বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহম্মেদের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ, উভয় দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পংকজ নাথ। আর শাম্মী আহম্মেদ পংকজ নাথের বিরুদ্ধে হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনেন।
রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বিহঙ্গ পরিবহনে পংকজ নাথের মালিকানা রয়েছে। সে তথ্য তিনি হলফনামায় গোপন করেছেন। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টি পর্যালোচনা এবং উভয় পক্ষের অভিযোগের বিষয়ে আরও যাচাই-বাছাই শেষে সোমবার সিদ্ধান্ত দেওয়ার ঘোষণা দেন।
তবে সব পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ইসির আপিল শুনানিতে রায় হয় শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা বাতিল ও পংকজ নাথের প্রার্থিতা বৈধ।
পরে সাংবাদিকদের পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, আজ ইসিতে দুটো আপিল ছিল। শাম্মী আহম্মেদের দুটো আপিল ছিল। একটি রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক বাতিল হওয়া মনোনয়ন ফিরে পাওয়ার জন্য, আরেকটি ছিল আমার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে। পুরো কমিশন আমাদের কথা শুনেছেন। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি, সত্যের জয় হয়েছে।
শাম্মীর প্রার্থিতা বাতিল হলেও ভোট কঠিন হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট স্বচ্ছ ও নিরেপেক্ষ করতে হবে। জাতীয় পার্টিসহ আরও ৩ জন প্রার্থী রয়ে গেছে। হয়তো শাম্মী হাইকোর্টে আপিল করবেন। জনগণের মন জয় করে জিতে আসতে হবে, সেটি বড় চ্যালেঞ্জ।